শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন
মোংলা প্রতিনিধি: দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা ও মাড়াই শ্রমিকের যোগান হচ্ছে সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলার উপকুলীয় অঞ্চল থেকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে যে অঞ্চলে ধান কাটার প্রয়োজন সেখানেই পাঠানো হচ্ছে এসব শ্রমিক। বৃহস্পতিবার দুপুরে সড়ক পথে প্রথম দফায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার শ্রমিক পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, নোনা পানির চিংড়ি ঘের অধ্যুষিত এ অঞ্চলে মূলত একমুখী ফসল আমনের উৎপাদন হয়ে থাকে। তাও চাহিদার তুলনায় খুবই নগন্য। এ ধানের উৎপাদনে দিনমজুর শ্রমিক তো দূরের কথা জমির মালিকেরও খাদ্য চাহিদা পূরন হয়না। তাই প্রতি বছর এখানকার শ্রমিকরা ধান কাটা ও মাড়াই মৌসুমে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেয়ে থাকেন। কিন্তু এ বছর করোনা ভাইরাসের কারণে মোংলা অঞ্চলের শ্রমিকদের বোরো ধান কাটতে যাওয়া অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। এ ছাড়া বোরো ধান উৎপাদিত অঞ্চলে দিনমজুর শ্রমিকের সংকট দেখা দেয়। আর জমির মালিকদের ধান ঘরে ওঠা নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এ অবস্থায় স্থানীয় দিনমজুর শ্রমিকদের আগ্রহের কারণে এগিয়ে আসে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার শ্রমিক পাঠানোর কাজে সার্বিক সহযোগিতা করছেন পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাই প্রথম পর্যায় ৫৭জন ধান কাটা শ্রমিক বরিশালের আগৌলঝাড়া, উজিরপুরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামাঞ্চলে পাঠানো হয়েছে।
মোংলার চিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আকবর গাজী জানান, মরন ঘাতক করোনা ভাইরাসের প্রভাবে উপকুলীয় অঞ্চলের মানুষ ভেবেছিল এবছর দান কাটতে যেতে পারবে না তারা। কিন্ত সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসন এগিয়ে আসছে তাই শ্রমিকদের মুখেও হাসীঁ দেখা যাচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াও বাস, ট্রলার ও লঞ্চ সহ যাতায়াতের সকল সুবিধাদির দায়িত্ব নিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। যতদিন ফিড়ে না আসবে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারের সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানায় এ জনপ্রতিনিধি।
এদিকে বেকার শ্রমিকরা জানান, ধান কাটা ও মাড়াই কাজে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগসহ খাদ্য সংকট দূর হবে। তারা বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা ও মাড়াই কাজের যাওয়ার সুযোগ পেয়ে পুলিশ প্রশানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে মোংলা বাসষ্ট্যান্ড থেকে প্রথম দফায় ৫৭ জন ধান কাটা শ্রমিক পাঠানো হয়েছে বরিশালের বিভিন্ন এলাকায়। পর্যায়ক্রমে এ অঞ্চলের প্রায় দুই সহ¯্রাধিকের বেশী ধান কাটা ও মাড়াই শ্রমিক পাঠানো হবে সিলেট, গোপালগঞ্জ ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এছাড়া যেকানে ধান কাটবে বা যাতায়াতের সড়ক পথে কোন সমস্যা হলে তাও দেখভাল করার আশ্বাস দেন এসপি পংকজ চন্দ্র রায়।