বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
মোংলা প্রতিনিধি: মোংলায় বিকাশ হ্যাকার গ্রুপের এক সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় পৌর শহরের সামছুর রহমান সড়কের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এব্যাপারে মোংলা থানায় সাংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আসিফ ইকবাল এ তথ্য জানায়।
পুলিশ জানায়, পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ড সামছুর রহমান সড়কের বাসিন্দা বাবুল চৌধুরীর ছেলে সিয়াম চৌধুরী (২২) দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন লোকের বিকাশ একাউন্ট হ্যাক করে টাকা উত্তলন করতো। মোংলা শহরে বিএলএস রোডস্থ একটি নামী-দামী বিকাশ কোম্পানীতে চাকরী করে সিয়াম। এই বিকাশের চাকরীর সযোগে এবং দেশের একটি বড় বিকাশ একাউন্ট হ্যাকার গ্রুপের সাথে পরিচয় হয় সিয়ামের। তাদের সাথে পাটনারশীপ হিসেবে এতোদিন কাজ করে আসছে এই সিয়াম চৌধুরী। সম্প্রতি মোংরা উপজেলায় অসহায় মহিলাদের সারকারে মাতৃত্বকালীন ভাতা দেয়া প্রায় ২০/২৫ জনের ভাতার টাকা বিকাশের মাধ্যমে আসলে সিয়াম মুহুর্তের মধ্যে ওই সকল বিকাশ একাউন্টের সমুদয় টাকা ডিজিটাল প্রতারনার মাধ্যমে সেন্ড মানি করে নিয়ে যায়। এবং এ টাকা সাথে সাথে অন্য একাউন্টে সেন্ট করে দেয়। গত ২৭ এপ্রিল মোংলার জয়মনি এলাকার বিনয় মন্ডল’র স্ত্রী রানি মল্লিক মোংলা থানার একটি সাধারন ডায়রী করে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, তার ব্যাক্তিগত মোবাইল নং-০১৯২২ ৬৬৬৮৯১, গত ২৭ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২ টায় তার মাতৃত্ব কালিন ভাতার প্রথম কিস্তির ৭২০০ টাকা আসে। কিন্তু বেলা ১ টা ১৫ মিনিটের সময় তার বিকাশ একাউন্ট হতে ০১৯২৩১৭৫৩৯৮ নম্বর ব্যাবহার করি অজ্ঞাত নামা ব্যাক্তি তার বিকাশ একাউন্টের সমুদয় টাকা ডিজিটাল প্রতারনার মাধ্যমে সেন্ড মানি করে নিয়ে যায়। একই দিনে চিলা ইউনিয়নের মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রাপ্ত ২০ হতে ২৫ জন নারির বিকাশ একাউন্ট হতে বিভিন্ন নম্বরে ডিজিটাল প্রতারনার মাধ্যমে প্রত্যেকেররই ৭২০০ টাকা নিয়ে যায়। অভিযোগের সুত্রধরে মোংলা সার্কেলের দ্বায়িত্ব সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আসিফ ইকবাল, মোংলা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি টিম তাৎক্ষনিক ভাবে আইনি কার্যক্রম গ্রহন করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিকাল একাইন্ট হ্যাকিং করে টাকা আত্নসাত প্রতারনার করে আত্নসাৎ করার সাথে সম্পৃক্ততা পেয়ে ৩০ এপ্রিল তার নিজ বাড়ি থেকে প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও অনান্য উপকরন সহ সিয়ামকে আটক করা হয়। তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবদে বিকাশ হ্যাকিংসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে সিয়াম বলে জানান ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী। এব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, সিয়ামসহ মোংলাসহ দেশের অনেক জায়গায় মানুষের বিকাশ একাউন্ট হ্যাকিং করার একটি বড় গ্রুপ রয়েছে। সিয়াম ওই গ্রুপেরই একজন সক্রিয় সদস্য, জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম নিজে একতা স্বিকার করেছে। তার বিরুদ্ধে ডিজিটার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের পর আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে বলেও জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা।