রবিবার, ২০ Jul ২০২৫, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
মোঃ জহিরুল ইসলাম সবুজ. আগৈলঝাড়া: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোন ব্যাক্তির মৃত্যু হলে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি সামাজিক সংগঠন ও মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার ডাসার থানার নবগ্রাম এলাকার একটি সামাজিক সংগঠন অন্তেষ্টিক্রিয়ার কাজ বিনাস্বার্থে করছে। সামাজিক সংগঠন দুটি একত্রে সারাদেশে অন্তেষ্টিক্রিয়ার কাজ করে আসছে।
জানাগেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বড়বাসাইল গ্রামের মলয় ঘটক এর প্রতিষ্ঠিত “মনোরঞ্জন ঘটক চ্যারিটি ফাউন্ডেশন” ও আগৈলঝাড়ার পার্শবর্তী মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার ডাসার থানার নবগ্রাম এলাকার বাবু প্রবীন হালদার প্রতিষ্ঠিত নবগ্রাম জনকল্যাণ সেবাশ্রম ট্রাষ্ট এর উদ্দ্যেগে সারাদেশে অন্তেষ্টিক্রিয়ার কাজ করছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যদি কোন ব্যাক্তি মারা যায় আর ওই ব্যক্তিদের অন্তেষ্টিক্রিয়া যদি কেউ করতে না চায় তাহলে তারা সেই মৃত ব্যক্তিদের অন্তেষ্টিক্রিয়ার কাজ বিনাস্বার্থে করছে ওই দুটি সামাজিক সংগঠন। মনোরঞ্জন ঘটক চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য প্রতিষ্ঠাতা মলয় ঘটক (০১৭৯৩-৭০০৭২৫) ও নবগ্রাম জনকল্যাণ সেবাশ্রম ট্রাষ্টের সাথে যোগাযোগ করার জন্য প্রতিষ্ঠাতা প্রবীন হালদার (০১৭২৫-৮৯১২৪২) এর উক্ত মোবাইল নম্বরে যেগাযোগ করার জন্য আহবান জানিয়েছেন। উক্ত সংগঠন দুটি ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তেষ্টিক্রিয়া করে আসছে।
উল্লেখ্যঃ ১২ মে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পুরান ঢাকার ৪৯ নং শাঁখারী বাজার নিবাসী বাবু পরিমল চন্দ্র দে’র (৫৫) অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সকল দায়িত্ব গ্রহন করে ঢাকা পোস্তগোলা মহাশ্মশানে অন্তেষ্টিক্রিয়া করেন তারা।
এব্যাপারে মনোরঞ্জন ঘটক চ্যারিটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা মলয় ঘটক সাংবাদিদের জানন. ২০১০ সাল থেকে নিজ এলাকায় কেহ মারাগেলে তাদের অন্তেষ্টিক্রিয়ার কাজ বিনাস্বার্থে করেছি। দেশের এই মহামারির সময় বিভিন্ন এলাকায় যখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে সাধারন মানুষ তাদের অন্তেষ্টিক্রিয়ার কাজ করতে রাজি হচ্ছেনা তাই আমরা সারাদেশে মৃত ব্যক্তিদের অন্তেষ্টিক্রিয়ার কাজ বিনাস্বার্থে করে দিচ্ছি।
নবগ্রাম জনকল্যাণ সেবাশ্রম ট্রাষ্ট প্রতিষ্ঠাতা প্রবীন হালদার সাংবাদিদের জানন. বিদ্যমান সময়ের মহাক্রান্তিকালে বিশ্ব অতিক্রম করছে ভয়ানক এবং অনিবার্য এক সংকটাপন্ন স্তব্ধ জমাটবাঁধা অদ্ভুত এক আঁধারের গলিপথে। সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত মানবজাতি স্মরণকালের যে কোনো সময়ের মহামারীর তুলনায় বড়ো বেশি আতঙ্কিত-বিষাদগ্রস্ত। আমাদের দেশ এর ব্যাতিক্রম নয়। আর এই সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে আমাদের জানালে আমরা বিনাস্বার্থে দেশের যেকোন স্থানে গিয়ে মৃত ব্যক্তিদের অন্তেষ্টিক্রিয়ার কাজ করে দিব।