মোঃ জহিরুল ইসলাম সবুজ. আগৈলঝাড়া:
‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু..’। উপমহাদেশের কিংবদন্তী গায়ক ভূপেন হাজারিকার এ কালজয়ী গানটি মনে পরে গেল যখন দেখলাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দেশব্যাপী কর্মহীন ঘরবন্দি শ্রমজীবী মানুষ, দরিদ্র ও দুঃস্থদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাহায্য করছে গৈলা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল হোসেন টিটু তালুকদার ঠিক তখনি মনে হচ্ছিল মানুষের প্রতি মানুষের হৃদয়টাকে স্ফিত করে মানবিকতাকে জাগিয়ে তুলতেই যেন গানটি গেয়েছিলেন উপমহাদেশের কিংবদন্তী এ গায়ক।
বিভিন্ন সময়ে বাঙালি জাতী নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে অভ্যস্ত হলেও এমন দুর্যোগ আগে আসেনি। করোনা ভাইরাসের মহামারী ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে মানুষকে ঘরে থাকতে হচ্ছে বাধ্যতামূলকভাবে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষরা। মহামারীতে রূপ নেওয়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পাশাপাশি এ যেন মানবতার পরেও লড়াই।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার গৈলা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল হোসেন টিটু তালুকদার করোনা ভাইরাসের মহামারী ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ত্রান বিতরন করেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় ঈদের দিনেও গৈলা ইউনিয়ন এর ৫ নং ওয়ার্ড পূর্ব সুজন কাঠি গ্রামের টিটু সরদার করোনার কারনে দীর্ঘদিন প্রবাসে বন্দি আছেন, যার প্রভাবে গ্রামে তার পরিবার আর্থিক ভাবে অভাব-অনটন এ দিন যাপন করছিলো, আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত এমন খবর পাওয়ার পর গৈলা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল হোসেন টিটু তালুকদারকে জানালে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও দক্ষিন বাংলার উন্নয়ন এর রূপকার জননেতা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্’র পক্ষ থেকে পরিবার টি কে ঈদ উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেন গৈলা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল হোসেন টিটু তালুকদার। এর আগে তিনি করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে যান চলাচল ও দোকানপাট বন্ধসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে অবস্থিত কাঁচাবাজার, ঔষধের দোকান ও নিত্যপণ্যের দোকানগুলোতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার লক্ষে দোকানগুলোর সামনে নির্দিষ্ট দুরত্বে রং দিয়ে গোল চিহ্ন দিয়ে দেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার নিতে আসা কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকল ক্রেতাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন। প্রাণঘাতী করোনা রোধে সকলকে সামাজিক নিরাপত্তা দুরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা সকলের জন্য পরিষদ চত্ত্বরে হাত ধোয়ার ব্যাবস্থা করেন তিনি। এলাকার বাহির থেকে কেউ আসলে তাকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যাবস্থা করেছেন তিনি। ওই সময় তাদের সংসারের খরচ বহন করেছেন তিনি নিজ অর্থায়নে। করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে সামাজিক দুরত্ব, পরিচ্ছন্নতা ও হাত ধোয়াকে যখন সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তখনই একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ শুরু থেকে অদ্যবধি নিরলসভাবে কাজ করে ভূয়সি প্রশংসা পেয়েছেন তিনি সর্বমহলে।
এব্যাপারে গৈলা মডেল ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল হোসেন টিটু তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যমান সময়ের মহাক্রান্তিকালে বিশ্ব অতিক্রম করছে ভয়ানক এবং অনিবার্য এক সংকটাপন্ন স্তব্ধ জমাটবাঁধা অদ্ভুত এক আঁধারের গলিপথে। সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত মানবজাতি স্মরণকালের যে কোনো সময়ের মহামারীর তুলনায় বড়ো বেশি আতঙ্কিত-বিষাদগ্রস্ত। আমাদের দেশ এর ব্যাতিক্রম নয়। করোনা ভাইরাসের মহামারী ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে মানুষকে ঘরে ঘরে ত্রান পৌঁছে দিয়েছি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও দক্ষিন বাংলার উন্নয়নের রূপকার জননেতা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্’র নির্দেশনায়।