রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কোস্টগার্ডের নতুন মহাপরিচালক জিয়াউল হক ভাঙন আতঙ্কে তিস্তা পাড়ের মানুষ ১৯৯২: শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু কবে থেকে হিজবুল্লাহপ্রধানকে হত্যায় অভিযান চালানো হয়, জানালো ইসরায়েলের কর্মকর্তারা মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে সুমনের অত্যাচার-নির্যাতনে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা বাংলাদেশের অপরাজনীতির নিকৃষ্ট উদাহরণ পিরোজপুরের মহারাজ-মিরাজ মাধবপুরে টোল আদায় নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত-১৯ ময়মনসিংহের গৌরীপুরে স্কাউটের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন, সভাপতি-শাকিল ,সম্পাদক- ছাইফুল ! আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হাতছাড়া করব না: ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নতুন রেজিস্ট্রার
ধর্ম যার যার উৎসব কিন্তু সবার : তথ্যমন্ত্রী

ধর্ম যার যার উৎসব কিন্তু সবার : তথ্যমন্ত্রী

ভিশন বাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে ধর্ম যার যার উৎসব কিন্তু সবার। আমাদের দেশে মুসলমান হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কোনো ভেদাভেদ নেই।

তিনি বলেন, আজকে মুসলমানদের কোরবানির ঈদ উদযাপিত হচ্ছে, আজকে সবার ঈদ উৎসবের সময়। আমরা গ্রামে সকল ধর্মের মানুষ মুসলমান হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান একসঙ্গে ভাই ভাই হিসেবে বড় হয়েছি। এটি সমগ্র বাংলাদেশের চিত্র। কিন্তু আমাদের গ্রামে এই সম্প্রীতি অন্যান্য জায়গার তুলনায় আরো বেশি। আমাদের এখানে কখনো কোনো ভেদাভেদ ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না, কেউ চেষ্টা করলেও সেটা নষ্ট করতে পারবে না।

রবিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় তথ্যমন্ত্রীর গ্রামের বাড়ি সুখবিলাস ভগবানপুর ধর্ম্মাংকুর বৌদ্ধ বিহারে জ্ঞাতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাঙ্গুনিয়া বৌদ্ধ জনসাধারণের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জ্ঞাতি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুখবিলাস ধর্ম্মাংকুর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাস্থবীর। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি জ্ঞানবংশ মহাথের, ঊর্ধ্বতন সভাপতি পরমানন্দ মহাথের এমএ, বাটাপাহাড় সার্বজনিন শালবন বিহার অধ্যক্ষ সুমনতিষ্য থের, ফলহারিয়া সদ্ধর্মলঙ্কার বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ দেবময় ভিক্ষু, পশ্চিম শিলক বনরত্ন বিহারের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ বংশভিক্ষু, মাষ্টার রঞ্জন বড়ুয়া, আশীষ বড়ুয়া, অধীর বড়ুয়া, রাজন তালুকদার শিবলু, বিধু মুৎসুদ্দী, টিটু বড়ুয়া প্রমুখ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের যখন প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠিত হয় তখন ফানুস উড়ানো হয়। তখন কিন্তু শুধু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ নয়, সবাই মিলে ফানুস উড়ান। সবাই কিন্তু সেই উৎসবে শামিল হয়। আমাদের যখন ঈদ উৎসব হয় তখন মুসলমানদের বাড়িতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই যান। এটাই আমাদের দেশের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।

তথ্যমন্ত্রী নিজ গ্রামের এই বৌদ্ধ বিহারের স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, ছোটবেলা থেকে আমি এই বিহারে আসতাম। এখানে আসলে বৌদ্ধ বিহারের যিনি অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি আমাদের চকলেট দিতেন, নাড়ু ও বাতাসা খাওয়াতেন, আমাদের মতো বাচ্চাদের দেখলে নানা ধরনের আপ্যায়ন করতেন। তখনকার যেসব ভিক্ষুরা ছিলেন তাদের আমি পায়ে ধরে সালাম করতাম। বর্তমানেও যিনি আছেন তিনিও প্রায় আমার বাবার বয়সি। উনিও আমার পিতৃতুল্য শ্রদ্ধাভাজন।

সুখবিলাস ভগবানপুর ধর্ম্মাঙ্কুর বিহারটি ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি ১১৮ বছর আগের পুরনো বৌদ্ধ বিহার। এই বিহারসহ আশপাশের বিহারগুলোর উন্নয়নে আমি অনেক কাজ করেছি। আমি মনে করি এটা আমার গ্রামের বৌদ্ধ মন্দির মানে আমার মন্দির। এবারও এই বিহারসহ পাশের দুই বিহারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এভাবে রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি বৌদ্ধ মন্দির একাধিকবার বরাদ্দ পেয়েছে।

তিনি বলেন, এই বিহারে আরো দুটি সোলার লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর বাইরে আরো কিছু প্রয়োজন থাকলে সেটিও কাজ করা হবে। অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী পাশের সুখবিলাস সার্বজনীন লুম্বীনিকানন বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে ফানুস উড়ান।

এর আগে বিকেলে তথ্যমন্ত্রী রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা চক্ষু হাসপাতালের ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com