রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ নারী স্টার্ট আপ ফাউন্ডার হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন সহজ-এর ফাউন্ডার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মালিহা এম কাদির। বিজনেস-ফাইন্যান্স বিষয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ওয়েবসাইট বিজনেস ফাইন্যান্সিং ইউকে সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নারী ফাউন্ডারদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় অ্যান্ট ফিন্যান্সিয়াল, গ্র্যাব, উইল্যাব এর মতো বিখ্যাত এশিয়ান কোম্পানির ফাউন্ডাররাও রয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে শীর্ষ নারী ফাউন্ডার হিসাবে এককভাবে এই স্বীকৃতি পেয়েছেন মালিহা কাদির। বিগত সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সেরা নারী উদ্যোক্তা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন মালিহা কাদির। এছাড়াও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম থেকে ইয়ং গ্লোবাল লিডার হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ার পাশাপাশি ডেইলি স্টার থেকে বছরের সেরা আইসিটি স্টার্ট আপ, আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড ও অনন্যা ম্যাগাজিনের শীর্ষ দশ সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।
হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে এমবিএ করা মালিহা কাদির এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্মিথ কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ও অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। বাংলাদেশে ফিরে আসার আগে মালিহা কাদির প্রায় এক যুগ আমেরিকা ও সিংগাপুরে মরগান স্ট্যানলি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, নোকিয়া এবং ভিস্টাপ্রিন্টের মতো আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্বনামধন্য ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং ও টেকনোলজি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। ২০১৪ সালে দেশের ট্রাভেল ও টিকেটিং ইন্ডাস্ট্রিকে আরও গোছালো করতে মাত্র ৩০ জন কর্মী নিয়ে বাংলাদেশে প্রথম ডিজিটালাইজড টিকেটিং সেবা প্রদান প্রতিষ্ঠান হিসাবে যাত্রা শুরু করা ‘সহজ’, যা এখন ৩৫০ জনের অধিক কর্মীর এক বিশাল শক্তিশালী পরিবার। সর্বোচ্চ সংখ্যক সেবা নিয়ে সহজ এখন বাংলাদেশের সব থেকে দ্রুত বর্ধমান স্টার্ট আপ। টিকেটিং প্রসেসকে ডিজিটালাইজড করার পর সহজ অনলাইন ফুড সার্ভিস, রাইড শেয়ারিং ও লজিস্টিক সেবা যুক্ত করেছে তাদের প্লাটফর্মে। ধীরে ধীরে সহজ হয়ে উঠছে দেশের শীর্ষস্থানীয় অ্যাপ। কোভিড-১৯ মহামারির সময়েও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে সহজ যুক্ত করেছে গ্রোসারি, মেডিসিন ডেলিভারি ও ই হেলথ (ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ) সেবা। এমনকি মহামারির এই সময়ে সরকারের সঙ্গে একাত্ম হয়ে সহজ কাজ করেছে ‘করোনা ট্রেসার অ্যাপ’ এর মতো চ্যালেঞ্জিং টেকনোলজিকাল অ্যাপ তৈরিতে। শুরু থেকেই সহজের লক্ষ্য একটিই- টেকনোলজি ব্যবহার করে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবন আরেকটু সহজ ও আরামদায়ক করা; যে চেষ্টা সামনেও অব্যাহত থাকবে।