বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের হাউলি গঙ্গাধরদী গ্রামে (পশ্চিমপাড়া) আজ সোমবার সকালে মাছ ধরা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আপন দুই ভাই নিহত হয়েছে। নিহতরা হল শামীম মাতুব্বর (২২) ও ছোট ভাই নবম শ্রেণীর ছাত্র রাকিব মাতুব্বর (১৫)। নিহত শামীম ও রাকিব ঐ গ্রামের গিয়াস মাতুব্বরের ছেলে। হত্যায় জড়িত ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক ছদ্দাক মাতুব্বর (৭০) ও তার ছেলে সালাম মাতুব্বর(২৫)কে আটক করেছে পুলিশ। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে। দুই ভাইকে নৃশংশভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এলাকা জুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছ্।েফরিদপুর পুলিশ সুপার মোঃ আলিমুজ্জামান (পিপিএম),অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ভাঙ্গা সার্কেল) গাজী রবিউল ইসলাম,অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুর রহমান,পিবিআই,সিআইডিসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তৎক্ষনাৎ ঘাতকদের বাড়ী থেকে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র ঢাল, সরকি,টেটা ও রামদা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,নিহত শামীম ও রাকিবসহ ৪ ভাইয়ের মধ্যে ১ ভাই প্রবাসী,২ জন ঢাকায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে ও নিহত রাকিব ৯ম শ্রেনীর ছাত্র। গতকাল রবিবার বিকালে নিহত রাকিব বর্ষা মৌসুমে বাড়ির পাশের বিলে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে। কিছুক্ষণ পরে এলাকার প্রতিপক্ষ ছদ্দাক মাতুব্বরের ছেলে জামাল মাতুব্বরের সাথে রাকিবের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জামাল মাতুব্বর সহ তার ভাইয়েরা রাকিবের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করে। এ নিয়ে দু,পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ-সংঘাতের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষছদ্দাকমাতুব্বর,সালাম মাতুব্বরসহ ১০/১২ জন সংঘবদ্ব হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শামীমের ঘরের সামনে গিয়ে দু,ভাইকে এলাপাথাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এতে শামীম ঘটনাস্থলেই মারা যায় ও ছোট ভাই রাকিবকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়র পথে সেও মারা যায়। আরও একজ গুরুতর আহত হয় ।তার অবস্থাও আশংকাজনক। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পলিশ সুপার গাজী রবিউল ইসলাম বলেন, এটা একটা নৃশংস হত্যাকান্ড, মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সহোদর দুই ভাইকে গিয়াস মাতুব্বর গংরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা দুই জনকে আটক করেছি, এবং ওদের বাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে ও বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।