বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
মোংলা প্রতিনিধি: মোংলায় পুর্ব সত্রুতার জের ধরে দুই ভাইকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। রোববার রাতে উপজেলা সুন্দরবন ইউনিয়নের বাশতলা বাজারে একটি দোকানে বসা থাকা অবস্থায় হঠাৎ তাদের উপর হামলা চালায় তারা। সন্ত্রাসীদের বেধরক মারপিটে গুরুতর জখম জুয়েল হাওলাদার ও দুলাল হাওলাদারকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এর মধ্যে জুয়েল হাওলাদারের অবস্থা অবনতি হলে আজ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
থানার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রতিপক্ষ মনিরুল হাওলদার ও তার লোকজনের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল দুলাল হাওলাদারের। গত রবিরার রাতে সুন্দরবন ইউনিয়নের গোড়া বাঁশতলা বাজারে সেলিম ফরাজীর দোকানে বসা ছিলেন জুয়েল হাওলাদার। তাই পুর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা তাকে উদ্দেশ্য করে অহেতুকভাবে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে তাদের দেয়া গালিগালাজে প্রতিবাদ করলে হঠাৎ কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে বেধরকভাবে মারপিট করে রাস্তায় ফেলে রাখে। এসময় আশপাশের লোকজনের ডাক-চিৎকারে দুলালের চাচাতো ভাই জুয়েল হাওলাদার ঠেকাতে আসলে তাকে লোহার রড দিয়া হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয়দের সহায়তায় দুলাল ও জুয়লকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মোংলায় চিকিৎসারত অবস্থায় হঠাৎ জুয়েলের অবস্থা অবনতি হলে মঙ্গলবার উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত জুয়েল হাওলাদারের অবস্তা আশংঙ্ক জনক বলে জানিয়েছে জুয়েলের স্বজনরা। এ ব্যাপারে সোমবার রাতে মোংলা থানায় দুলাল হাওলাদার বাদী হয়ে মনিরুল হাওলাদার (৪৫), মোঃ মোস্তফা হাওলাদার (২৫), মোঃ মোজাম্মেল হাওলাদার (২০) সহ অজ্ঞত নামা কয়েকজনকে আসামী করে মোংলা থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
মোংলা থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ জাহাঙ্গির আলম জানায়, গোড়া বাশতলা বাজারে একটি মারামারীর ঘটনায় মোংলা থানায় কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এব্যাপারে ঘটনার তদন্তের জন্য এএসআই রাসেল আহাম্মদকে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।