রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট: ধর্ষণ বা, মায়ের প্রাণহানির মতো গুরুতর ঘটনা ব্যতীত গর্ভপাত করানো যাবে না। গত ২৭ জানুয়ারি এমন আইন প্রণয়নের পর থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছে পোল্যান্ড সরকার। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, এই আইন পাশের পরপরই পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশসহ অন্যান্য শহরে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের দাবি গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত হওয়া উচিত। কোনোভাবেই রাষ্ট্র এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কোনো দম্পতি বা বাবা-মা যদি গর্ভপাত করাতে চান, তবে সেই অধিকার তাদের থাকা উচিত।
প্রতিবাদকারীদের শ্লোগান ছিলো, ‘আই থিংক, আই ফিল, আই ডিসাইড’। অর্থাৎ আমি ভাববো, আমি অনুভব করবো, আমিই সিদ্ধান্ত নেব। তবে এই বিক্ষোভের পর কিছুটা নরম হয়েছে সে দেশের সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গর্ভস্থ ভ্রূণ যদি অসুস্থ হয়, তবে গর্ভপাত করানো অসাংবিধানিক। সেক্ষেত্রে মায়ের প্রাণ সংশয়কে গুরুত্ব দিতে হবে ও পরিস্থিতি বিচার করতে হবে। পোল্যান্ডের মানবাধিকার কমিশনও গর্ভপাত আইনের বিরোধিতা করেছে। তাদের মতে, সরকার নারীবিরোধী। এটা এক ধরনের অত্যাচার। নারীদের অবদমন করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পোল্যান্ডের বিরোধী দলগুলোও সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাম দলের নেত্রী ওয়ান্ডা নোওইকা জানান, নারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে রাষ্ট্র। কোনোদিন সেই যুদ্ধে জিততে পারবে না সরকার।