রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের দিল্লির কৃষক বিক্ষোভে যোগ দিতে যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় বাঙালি এক তরুণী। ওই সমাজকর্মী তরুণী পরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়ে মারা গেছে।
এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে হরিয়ানার বাহাদুরগড় থানায়। চারজন অভিযুক্তর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন নিহত তরুণীর বাবা। অভিযুক্তদের মধ্যে কিষাণ সোশাল আর্মির দুই সদস্য অনুপ এবং অনিল মালিকের নাম রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, টিকরি সীমান্তে কৃষকদের বিক্ষোভে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ২৬ বছর বয়সী ওই তরুণী। তার সঙ্গেই ছিল অভিযুক্ত চারজন। সীমান্তের ঠিক পাশেই তরুণীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। তার কিছুদিন পর ওই তরুণীর জ্বর আসে। করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অবস্থা বেগতিক দেখে দিল্লির শিবম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তরুণীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ৩০ এপ্রিল সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
তার মৃত্যুর বেশ কিছুদিন পরে বাহাদুরগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণীর বাবা। আজ সোমবার ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রকাশ্যে নিয়ে আসে।
জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে হরিয়ানা পুলিশ। বিষয়টি উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।
সংযুক্ত কিষান মোর্চার পক্ষ থেকে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। মৃত তরুণীর পাশে তারা রয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। মোর্চার টিকরি কমিটির পক্ষ থেকে সেখানকার বিক্ষোভস্থলে থাকা কিষাণ সোশাল আর্মির সমস্ত পতাকা, তাঁবু, প্ল্যাকার্ড খুলে ফেলা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিক্ষোভস্থলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সূত্র : কলকাতা টোয়েন্টিফোর