মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নওগাঁর ঐতিহ্যবাহী হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত থেকে র‌্যাবকে সরিয়ে দিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন উজানের ঢলে প্লাবিত উত্তরের ৪ জেলা- পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ কোস্টগার্ডের নতুন মহাপরিচালক জিয়াউল হক ভাঙন আতঙ্কে তিস্তা পাড়ের মানুষ ১৯৯২: শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু কবে থেকে হিজবুল্লাহপ্রধানকে হত্যায় অভিযান চালানো হয়, জানালো ইসরায়েলের কর্মকর্তারা মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে সুমনের অত্যাচার-নির্যাতনে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা বাংলাদেশের অপরাজনীতির নিকৃষ্ট উদাহরণ পিরোজপুরের মহারাজ-মিরাজ মাধবপুরে টোল আদায় নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত-১৯
গভীর রাতে হাসপাতালে কেবিনে বিয়ে-বাসর

গভীর রাতে হাসপাতালে কেবিনে বিয়ে-বাসর

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রেমিক ভাঙা পা নিয়ে ক্লিনিকের কেবিনে ভর্তি। অসুস্থ প্রেমিককে দেখতে গিয়ে হাসপাতালের কেবিনেই বিয়ে হয় প্রেমিক যুগলের। এর পর হাসপালের কেবিনেই হয় নবদম্পতির বাসররাত। চুয়াডাঙার আলমডাঙার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।

জানা যায়, সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় আলমডাঙ্গা উপজেলার চরপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের অনার্স পড়ুয়া ছেলে হুসাইন আহমেদের (২৩) ডান পা ভেঙে গেছে। ভাঙ্গা পা নিয়ে তিনি গত কয়েক দিন ধরে আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকের ৪০১নম্বর কেবিনে। সঙ্গে রয়েছেন মা-বাবা ও বোন।

এই সংবাদ পেয়ে প্রেমিকা ঝিনাইদহ জেলার লেবুতলার তাসফিয়া সুলতানা মেঘা (১৯) গতকাল বৃহস্পতিবার ছুটে আসেন। সবকিছু জানার পর হুসাইনের অভিভাবক ওই তরুণীর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে তার বাবা মেয়েকে আর বাড়িতে তুলবেন না বলে জানিয়ে দেন। একই সঙ্গে সম্ভব হলে তাদের বিয়ে দিয়ে দিতে পরামর্শ দেন তরুণীর বাবা। মেঘাও বিয়ে করার জেদ ধরেন। এর পর গভীর রাতে হাসপাতে কাজী ডেকে বিয়ে সম্পন্ন হয় তাদের।

হুসাইন আহমেদের বাবা আব্দুস সোবহান বলেন, মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে আমাদের পূর্ব থেকেই পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। এ ছাড়া ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের বিয়ে আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। ছেলের অসুস্থতার কথা শুনে মেয়েটি ক্লিনিকে চলে এসেছে। এরপর আমি মেয়ের পিতার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলি। মেয়ের বাবা এভাবে বিয়ে দিতে রাজি না। কিন্তু মেয়েটি বিয়ে না করে এখান থেকে যাবে না এরকম জেদ ধরার পর মধ্যরাতে কাজী ডেকে বিয়ে দেওয়া হয়।

ফাতেমা ক্লিনিকের মালিক মুনজুর আলী বলেন, ছেলের বাবা আব্দুস সোবহান আমার বাল্য বন্ধু। বন্ধুর ইচ্ছাতে তার ছেলের বিয়ে আমার ক্লিনিকে হয়েছে। ক্লিনিকে এরকম একটা বিয়ে হয়েছে এ জন্য আমারও ভালো লাগছে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com