শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৪ অপরাহ্ন
বেশির ভাগ ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে তৈরি করা হচ্ছে ইট। এতে জমির উর্বরতা হ্রাস পাওয়াসহ জমি হারিয়ে ফেলছে তার স্বাভাবিক উৎপাদন ক্ষমতা। বিভিন্ন আইন ও নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও কিছুতেই কমছে না ইটভাটার দৌরাত্ম্য। মালিকরা মানছেন না কোনো নিয়মকানুন, কৃষির ক্ষতি ও ভূ-প্রকৃতি ধ্বংস করে মাটি পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে ইট। আর ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ,বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি,কমছে চাষাবাদ জমি। গজারিয়া উপজেলার ৪টি ইটভাটায় পরিবেশ আইন অমান্য করে তিন ফসলি জমির মাটি কেটে ভাটায় ইট তৈরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।। অভাবি কৃষকরা এ মাটি বিক্রি করছেন। এতে মাটির উর্বরা শক্তি কমে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে জমির মাটি আনা নেয়ার কাজে ব্যবহৃত ট্রাকের দানবীয় চাকায় পিষ্ট হচ্ছে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের রাস্তাঘাট। সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করে ইটভাটা মালিকগণ তাদের এহেন কর্মকান্ড দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসলেও দেখার যেন কেউই নেই। এতে করে একদিকে যেমন ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশ, বিপন্ন হচ্ছে কৃষি জমি। সরেজমিনে দেখা গেছে বালুয়াকান্দি রায়পাড়া এলাকা থেকে কৃষি জমির উপরি ভাগের মাটি কেটে নিচ্ছে এম এম অটো ব্রিকস।
গারিয়ার পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে ধারাবাহিক নিউজ থকছে আমাদের সাথেই থাকুন।