বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শায় নিখোঁজের ৫ দিন পর উদ্ধার হওয়া লাশের ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সমপন্ন করা হয়েছে। নিহতের সমন্ধে পর্যায়ক্রমে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব অজানা তথ্য।
এলাকাবাসী সূত্রে প্রকাশ. তিন বন্ধু একই সঙ্গে সব সময় থাকতেন। ব্যবসা করতেন তিনজন একই সাথে।
মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে নানা অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন তারা।
বন্ধুত্বের টানাপোড়েন শুরু হয় নানা কারণে তাদের মধ্যে মাদক ব্যবসার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়।
প্রথমে বন্ধুর পাওনা টাকা না দেওয়ার জন্য তার স্ত্রীকে লেলিয়ে দেয় অপার বন্ধু নিহত ইসরাফিল হোসেনের (৩৮) দিকে। একসময় ইসরাফিল বন্ধুর স্ত্রীর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়লে. ঐ ছলনাময়ী নারীর সহযোগিতায় অপর দুই বন্ধু মিলে সু কৌশলে ইসরাফিলকে একটা নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে দুই বন্ধু মিলে হত্যা করে একই গ্রাম কাশিয়াডাঙ্গায় এক নির্জন জঙ্গলে নিয়ে খুন করে তাকে মাটির নিচে পুঁতে রাখে। নিহতের পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে শেষে শার্শা থানা পুলিশের শরনাপন্ন হন এবং সন্দেহভাজন ৩জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন-
(১) নুর আলম (৪২), পিতা- নুর মোহাম্মদ, (২) মোঃ মোশারফ হোসেন (৪৫), পিতামৃত- আহম্মদ আলী,(৩) মর্জিনা বেগম (৩২), স্বামী-ইসমাইল হোসেন,গ্রাম-কাশিয়াডাঙ্গা, থানা-শার্শা,জেলা-
যশোর।
অভিযোগ পাওয়ার পরে ঘটনাটি স্পর্ষকাতর হওয়ায়. পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা মিলে দ্রুত অনুসন্ধান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করে. তাদের স্বীকারোক্তিতে কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের এক জঙ্গলে পুতে রাখে. ১লা সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে যশোর অঞ্চল নাভারন সার্কেল এ এসপি জুয়েল ইমরানের নেতৃত্বে পুলিশ. মাটিতে পুতে রাখা অর্ধগলিত লাশ উত্তোলন করে।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বদরুল আলম জানান, ইসরাফিল ২৭ আগস্ট রাতে বাড়ি থেকে বাহির হয়। পরের দিন তার আত্মীয়-স্বজনসহ চারিদিকে খোঁজখবর নেয়ার পর তার কোন সন্ধান না পেয়ে২৯ আগস্ট স্বজনরা শার্শা থানায় একটা নিখোঁজ ডায়েরি করেন। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় অনুসন্ধানের জন্য জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশের দায়িত্ব দেওয়া হয়।