শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতারণার অভিযোগে আলোচনায় আসা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির নতুন বোর্ডের প্রথম সভা শুরু হয়েছে। সমস্যা ও সংকট নিরসনে হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক গঠিত কমিটি এ সভা করছেন। আজ মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১২টায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সভাটি শুরু হয়। সেখানে নতুন বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
নতুন বোর্ডের প্রথম সভায় বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বোর্ডের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইভ্যালির বর্তমান অবস্থা, দায়-দেনা, সম্পদের পরিমাণ, পরিচালনার প্রক্রিয়া, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সভায় প্রাথমিক আলোচনা হচ্ছে। সভায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়- ইভ্যালির অফিস বর্তমান বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, শুরুতেই একটি অডিট টিমকে দায়িত্ব দেয়া হবে এবং ১৫ দিনের মধ্যে টিম নিয়োগ দেয়া হবে। এছাড়াও পাওনাদারদের তালিকা তৈরি করা হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বোর্ডের একাধিক সদস্য জানান, প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে পরিচালনা করা যায়, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা কি হবে- এসব বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হচ্ছে। তিনি বলেন, যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি অনেক সাধারণ মানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট, তাই আমরা চাইব কীভাবে এটি বাঁচানো যায়। এটি বোর্ডের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। জানা গেছে, ইভ্যালি নিয়ে কারাগারে থাকা প্রতিষ্ঠানটির সিইও রাসেলের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা করা যায় কি না, এতে কোনো আইনি বাধা আছে কি না, এসব বিষয়ে সার্বিক আলোচনা করবে বোর্ড।
ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর কোম্পানি আদালতে ইভ্যালি অবসায়নে কমিটি গঠনের আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে ৫ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বোর্ড গঠন করেন। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুন মাসে ইভ্যালির ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। এতে উঠে আসে, ইভ্যালির চলতি সম্পদের পরিমাণ ৬৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির দেনার পরিমাণ ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় বর্তমানে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন কারাগারে রয়েছেন।