সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সংগীত ওষুধের কাজ করে, মস্তিষ্ক বিজ্ঞানীদের দাবি এবার থেকে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে সরকার: হাইকোর্ট দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরী চিঠি শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের এনআইডি সংশোধন কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে রাঙামাটিতে নারী ও মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাসহ ১০ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে ছাত্রদল–যুবদলের দুই নেতা গ্রেপ্তার ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটাতে নরসিংদী জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা নিজে মানুষ হবার শিক্ষা নেই কিন্তু স্বপ্ন দেখে এমপি হওয়ার, হাদিকে নীলা ইসরাফিল কুষ্টিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের সাইনবোর্ডে আগুন বড় জয়ে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ নরসিংদীতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জালিয়াতি: ভূমি অধিগ্রহণে কোটি টাকার অনিয়ম, দুদুকে অভিযোগ

কিম-ট্রাম্প বৈঠকের উদ্যোগ, সারা দুনিয়ায় হৈচৈ

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১৮
  • ৪৯৪

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আনের সাথে আলোচনায় বসার এক আমন্ত্রণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রহণ করার পর সারা দুনিয়ায় হৈচৈ পড়ে গেছে বললে একটুও কম বলা হয় না।

এর গুরুত্ব-তাৎপর্য কত বিরাট? এ নিয়ে এখন বিশ্লেষকদের মধ্যে চলছে তুমুল আলোচনা।

“প্রেসিডেন্ট নিক্সন যখন চীনের চেয়ারম্যান মাও জেদং-এর সাথে দেখা করেছিলেন – ট্রাম্প-কিম বৈঠকের তাৎপর্য প্রায় তার সাথে তুলনীয়” – বলছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন-কোরিয়া ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষক মাইকেল ম্যাডেন।

এই প্রথম উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হবে। কি করে এটা সম্ভব হলো?

কেউ বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা মুন জে-ইনের কূটনৈতিক প্রতিভা, কেউ আবার বলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপজ্জনক চাল দিয়ে খেলায় জিতে আসার ক্ষমতা একে সম্ভব করেছে।

তবে সোল থেকে বিবিসির লরা বিকার বলছেন, এই রাজনৈতিক জুয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়তো কিম জং আনই – যিনি এখন পর্যন্ত কোন কথাই বলেন নি।

কিছুদিন আগেও মি ট্রাম্প এবং কিম জং-আন পরস্পরের উদ্দেশ্যে কটু্ক্তি করে চলেছিলেন। মি. ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংস করে দেবেন। তার পর হঠাৎ করেই তাদের মধ্যে বৈঠক হবার খবর সবাইকে চমকে দিয়েছে।

মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, এটা প্রমাণ করে যে আমেরিকার কঠোর নীতিতে কাজ হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, এই বৈঠকের খবর জানানোর পর এখন পর্দার পেছনে কি ঘটবে?

বৈঠকটি কোথায় কখন হবে সে সম্পর্কে এখনো জানা যাচ্ছে খুবই কম। হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে যে এই বৈঠক হবে মে মাসের মধ্যে। কোথা হবে তা ঠিক হয় নি।

ম্যাডেন বলছেন এ বৈঠক হয়তো উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তের মধ্যেকার অ-সামরিকীকৃত গ্রাম পানমুনজমে-এ হতে পারে। অন্য আরেক বিশ্লেষক কোরিয়া ওয়ার্কিং গ্রুপের ড. জন পার্ক বলেছেন, বৈঠকটি একটা চীনে বা অন্য কোন নিরপেক্ষ বা তৃতীয় দেশে হতে পারে।

কি নিয়ে আলোচনা হবে – সেটাও একটা বড় প্রশ্ন।

কিম যদিও বলেছেন, তিনি ‘পারমাণবিক অস্ত্র বিলোপের ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ’ – কিন্তু বিশ্লেষক ব্রুস বেনেট বলছেন, এটা মনে রাখতে হবে যে কিম বার বার বলেছেন তিনি তার পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করবেন না।

এ ছাড়া হয়তো উত্তর কোরিয়ায় বন্দী আমেরিকানদের মুক্তি, দু পক্ষের মধ্যে একটা শান্তি চুক্তি এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহারের মতো বিষয়গুলো উঠতে পারে।

উত্তর কোরিয়া নিশ্চয়ই চাইবে যে তাদের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হোক। তবে কি পরিমাণ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে তা আগে থেকে বলা কঠিন।

বিশ্লেষক ব্রুস বেনেট বলছেন উত্তর কোরিয়ার ওপর এখন এত কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে যে তার ফলেই তারা আলোচনার টেবিলে আসতে বাধ্য হয়েছে।

“এমন খবর বেরিয়েছে যে উত্তর কোরিয়ার হাতে অক্টোবর মাস নাগাদ আর হয়তো কোন নগদ অর্থ থাকবে না। তাই আমার মনে হয় উত্তর কোরিয়া সত্যি সমস্যায় পড়েছে” – বলেন বেনেট।

কিম-ট্রাম্প বৈঠকের ফল কি হবে?

বেনেট বলেন, “সম্ভবত দু পক্ষই কিছু ছাড় দিয়ে কিছু পাওয়ার মতো একটা আপোষ রফায় পৌঁছাতে পারবে, এমন সম্ভাবনা আছে। সবচেয়ে খারাপ যা হতে পারে তা হলো বৈঠক হলেও কোন অগ্রগতি না হওয়া।”

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com