শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিগারেটের মূল্য থেকে সরকার গড়ে প্রায় ৭৭ শতাংশ পর্যন্ত রাজস্ব আয় করে থাকে। যার মধ্যে আছে সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর ও হেলথ সারচার্জ। কিন্তু অসাধু উৎপাদনকারীরা সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে আমদানীকৃত অবৈধ ব্যান্ডরোল বা ট্যাক্স স্ট্যাম্প ব্যবহার করার মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছে। এসব ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট বাজারজাত করায় কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহারের মাধ্যমে নিম্নমানের সিগারেট বিক্রি করায় বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও।
কর আদায়ে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোলের নকল ও অবৈধ ব্যবহারে প্রতি বছর প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। গত বছর বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেলের গবেষণায়ও রাজস্ব ফাঁকির তথ্য উঠে আসে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে নিম্নমানের সিগারেট প্রত্যন্ত এলাকায় নির্ধারিত মূল্যের থেকেও কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার, অন্যদিকে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। পাশাপাশি ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশি মুনাফার আশায় দেশে ব্যান্ডরোলের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। নিম্নস্তরের প্রতি ১০ শলাকার প্যাকেটের দাম সর্বনিম্ন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯ টাকা। এতে এক প্যাকেট সিগারেটে সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয় প্রায় ২৮ টাকা। কিন্তু ব্যান্ডরোল বা ট্যাক্স স্ট্যাম্প নকল করে কেউ যদি সিগারেট বাজারজাত করে, তাহলে লাভ বেশি।