মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ (২৪) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আমাতুল্লাহ বুশরার জামিন দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালতে আবার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন আদালতে বুশরার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল। এদিন ফারদিনের বাবা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান।
এর আগে ৫ জানুয়ারি একই আদালতে বুশরার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত বুশরার জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য ৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন।
‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে ফারদিন নূর পরশের বাবার করা মামলায় গত ১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই দিনই তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে রামপুরা থানা-পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১৬ নভেম্বর পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে বুশরাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মজিবুর রহমান। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৫ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ফারদিন। ওইদিনই রাজধানীর রামপুরা থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন। নিখোঁজের দুদিন পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
৮ নভেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ফারদিনের মরদেহ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দেউলপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় বুশরাসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে মামলা করা হয়। রামপুরা থানায় নিহত ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে এ মামলা করেন।