শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
কূটনৈতিক প্রতিবেদক : বাংলাদেশের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ কেনাবেচার সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশ আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুতের দাম কমাতে সক্রিয়—এমন কোনো খবরও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জানা নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে আদানি গোষ্ঠী নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এ কথা জানান।
আদানি নিয়ে বিতর্কের প্রভাব ভারতে আসন্ন জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে পড়ার আশঙ্কা নাকচ করেন অরিন্দম বাগচী।
উল্লেখ্য, ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর চুক্তি আছে। চুক্তি অনুযায়ী ইউনিটপ্রতি নির্ধারিত দাম কমানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার অনুরোধ জানিয়েছে- কিছু গণমাধ্যমের এমন প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি আরো বলেন, চুক্তিটি এক সার্বভৌম দেশের সরকারের (বাংলাদেশের) সঙ্গে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের (ভারতের আদানি গোষ্ঠীর)। ওই চুক্তির সঙ্গে ভারত সরকার জড়িত নয় বলেই তিনি মনে করেন।
অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি অনুসরণ করে ভারত তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ স্থাপন করতে চায়। এটি উন্নয়নের জন্যও সহায়ক। তিনি বলেন, ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল প্রতিবেশীরাও পাক এটি তারা প্রত্যাশা করেন। এটি দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের যোগাযোগও, বিদ্যুৎ ও জলসম্পদ ক্ষেত্রে এত সহযোগিতার উদ্দেশ্য।
আদানির কারণে বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা ও দেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়েছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে অরিন্দম বাগচী বলেন, অর্থনৈতিক কারণে বিশেষ কোনো প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন না হওয়া দুই দেশের সম্পর্কের প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে সম্পর্ক আরো জোরদার করতে ভারত তার চেষ্টা চালিয়ে যাবে।