রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মা-ছেলেসহ ট্রিপল মার্ডার : নেপথ্যে পরকীয়া প্রেম জোরপূর্বক দখলকৃত বাড়ি ও জমি ফেরত পেতে সংবাদ সম্মেলন ডোমার জোড়াবাড়ীতে যুবদলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ❑ ডোমারে হাঁস, বাঁশ, সাঁতার ও ডুব খেলা অনুষ্ঠিত ❑ বাংলাদেশ মিউজিসিয়ান্স (বিএমএ) উদ্যোগে মৌলভীবাজারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃক্ষ রোপণ ও বিতরণ কর্মসুচি সুবর্ণচরে সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া’র প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলীয় কার্যক্রম চালাতে পারবে না আ.লীগ: উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত আগৈলঝাড়ায় বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাসের সাথে সুশিল সমাজ ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময়
দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে আলেমদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে আলেমদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : মসজিদের বয়ানে জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতি এবং নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে দেশের আলেম, উলামা এবং খতিবদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশের মানুষ আলেম, উলেমা, খতিব এবং ইমামদের শ্রদ্ধা করে। তাই আপনাদের কথাবার্তা বা আলাপ-আলোচনা তাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।আজ সোমবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চতুর্থ ধাপে দেশজুড়ে ৫০টি মডেল মাদরাসা ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্ধোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আপনারা যদি মসজিদে বয়ানের সময় নারীর প্রতি সহিংসতা দূরীকরণ, জঙ্গিবাদ, মিথ্যা গুজবের অপপ্রচার, গৃহকর্মীদের প্রতি অমানবিক আচরণ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে বেশি বেশি আলোচনা করেন জনগণ তা গ্রহণ করবে। শেখ হাসিনা বিশেষ করে জুমার নামাজের পূর্বে বয়ানে এসব বিষয় আলোচনা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।প্রধানমন্ত্রী আলেমদের ইসলামের মর্মবাণী সম্পর্কে বয়ান করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কখনো কখনো স্বার্থান্বেষী মহল কোমল হৃদয়ের শিশুদের বিভ্রান্তির পথে নিয়ে যায়। ইসলাম যে শান্তির ধর্ম এই শিশুদের তা সঠিকভাবে শেখানো হলে তারা অবশ্যই সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত হবে না।পাশাপাশি তিনি আলেম-উলামাসহ সকল ধর্মপ্রাণ মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান যাতে কেউ পবিত্র ইসলামকে কলুষিত করতে না পারে। তিনি বলেন, বিভিন্ন উপায়ে আমাদের পবিত্র ধর্মকে অবমাননা করা চলবে না। আলেম-উলামা ও ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে।

ইসলাম শান্তির ধর্ম উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে লিপ্ত কিছু লোক এই শান্তির ধর্মের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। তারা ভুল পথ নিয়েছে। আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। শেষ বিচারের রায় মহান আল্লাহ দেবেন।তিনি বলেন, কে ইসলামে বিশ্বাস করে আর কে করে না, আমরা তা বলতে পারি না। এটা খুবই দুঃখজনক যে মাঝে মাঝে আমরা দেখি, কিছু লোক অকারণে অন্য ধর্ম বা ইসলামের বিভিন্ন মাজহাবকে আঘাত করে। এটি ইসলামের শিক্ষা এবং নবীর আদর্শের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।তিনি বলেন, এ ধরনের মনোভাব কারো কাছ থেকে গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহর ওপর বিশ্বাস হারাবেন না। আল্লাহ সব কিছুর বিচার করবেন; আমাদের এই বিশ্বাস নিয়েই চলতে হবে। আল্লাহ ঠিক করবেন কে বেহেশতে যাবে এবং কে দোজখে যাবে। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, আল্লাহর ওপর বিশ্বাস হারানোর কারণ কী?

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ইসলামও আমাদের শিক্ষা দেয়―অন্য ধর্মের প্রতি আমাদের সহনশীল হতে হবে। প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে এবং এটা বাংলাদেশের সংবিধানেও বলা আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষকে হত্যা করে কেউ বেহেশতে যেতে পারে না। নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করলে তাকে জাহান্নামের আগুনে যেতে হবে। এ ব্যাপারে মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবাই রক্ত দিয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে প্রত্যেকে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করবে। আমরা আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে আমাদের দেশ চালাই। সবার সমান অধিকার আছে এবং আমরা তা বিশ্বাস করি।

জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে সমাজের হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো মানুষের জীবন কেড়ে নেয়, বিভ্রান্ত করে। মানুষকে এসব বিপদ থেকে দূরে রাখতে পদক্ষেপ নিতে হবে, তিনি বলেন। কেউ যাতে মাদকে আসক্ত না হয় সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

এদিন সারা দেশে নতুন ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এ পর্যন্ত সারা দেশে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৬৪টির মধ্যে ২০০টি মসজিদ উদ্বোধন করলেন।এর আগে তিনি ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে এবং গত ১৬ মার্চ তৃতীয় ধাপে ৫০টি করে মসজিদ উদ্বোধন করেন। অবশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণকাজ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ও মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com