শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
হচ্ছে একের পর এক পুকুর খনন। নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা না করেই বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় উর্বর ফসলি জমি নষ্ট করে খনন করা হচ্ছে একের পর এক পুকুর। অবাধে ফসলি জমিতে পুকুর খননের ফলে ক্রমাগত কৃষি জমি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ। আর উপজেলা প্রশাসন বলছে জমির মালিকদেরকে বারবার বলার পরে তারা সুযোগ খুঁজে অবৈধ পুকুর খনন করে থাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফসলি জমির মাটি কেটে পুকুর খননের অভিযোগ। স্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। আগৈলঝাড়ায় প্রভাব খাটিয়ে রাতের আঁধারে উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আস্কর গ্রামের নতুন কালিবাড়ীর পাশে ফসলি জমি থেকে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে পুকুর তৈরি করার জন্য গোপাল পান্ডের ছেলে বিভাস পান্ডে নামক স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা শনিবার ১০ জুন আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি জানালে তিনি তাৎক্ষণিক কোন ব্যবস্থা নেননি বলে জানা গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার আস্কর গ্রামের গোপাল পান্ডের প্রবাসী ছেলে বিভাস পান্ডে স্কেভেটর মেশিন দিয়ে জমিতে মাটি কেটে পুকুর তৈরি করছে। মাটি কাটার কারণে আশেপাশের ফসলি জমিও হুমকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয় বাগধা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য প্রদীপ রায় বলেন, বিভাস পান্ডে অবৈধভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলী জমি থেকে মাটি খনন করে পুকুর খনন করছেন। পুকুর খননের ফলে পার্সের জমিসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জমি ধ্বসে পুকুরে নেমে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
অভিযুক্ত বিভাস পান্ডে জানান, আমি দীর্ঘ ১৫ বছর বিদেশে ছিলাম। আমার কোন বসতবাড়ি ঘর নেই। ফলে আমার স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাসের জন্য আমার পৈতৃক ৬০ শতক জমি আছে। আমি আমার পৈতৃক জমিতে পুকুর ও বাড়ি বানানোর জন্য কৃষি জমির মাটি কাটাচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কৃষি জমি নষ্ট করে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে পুকুর তৈরি করা যাবেনা। কেউ ফসলি জমি নষ্ট করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।