রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন
মো: শফিকুল ইসলাম (শফিক):
ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবীতে গতকাল বুধবার বিকাল ৫ ঘটিাকায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে মির্জাগঞ্জ কোর্ট মসজিদের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
বৈসম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও রুহের মাগফেরাত কামনা করে অবস্থান কর্মসূচির কর্মকান্ড শুরু হয়। উক্ত কর্মসূচিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা ও কর্মীবৃন্দ উপস্থিত হয়ে অবস্থান কর্মসূচিকে সাফল্য মন্ডিত করে তোলে।
এ সময় উপস্থিত নেত্রীবৃন্দ বলেন, দীর্ঘ্য ১৬ বছর ধরে আমরা কোনো মিটিং মিছিল তো দুরে থাক রাস্তায় দাড়িয়ে কথা বলার মত কোনো সুযোগই পাইনি। কারন এই ফ্যাসিবাদ আওয়ামী সরকার আমাদের সেই সুযোগ কখনোই দেয়নাই। অন্যায় ভাবে আমাদের উপর চালিয়েছে অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা ও মামলা। এই জুলুমবাজ, সন্ত্রাসবাজ ও দূর্নিতীগ্রস্ত সরকারকে আমরা ছাত্র-জনতার সহযোগীতায় উৎখাত ও বিতারিত করতে সক্ষম হয়েছি। ঝড়িয়েছি অনেক রক্ত ও তাজা প্রাণ। বিনিময়ে অর্জন করেছি নতুন ভাবে স্বাধীনতা ও নতুন একটি বাংলাদেশ।
বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এর সন্ত্রাসীরা এখনো সক্রিয়। তারা টার্গেট করে তারা বড় ধরনের কোনো নাশকতায় লিপ্ত আছে। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই তারা যদি কোনো প্রকার নাশকতা করে বা করার চেষ্টা করে প্রশাসন কে তার দ্বায় নিতে হবে। আওয়ামী লীগ যদি ১৫ই আগষ্ট পালন করতে রাস্তায় আসে তার দ্বায়ও প্রশাসনকে নিতে হবে,কারো পারিবারিক শোক জাতীয় শোক হতে পারেনা। আমরাও তাদেরকে ছেড়ে দেবোনা। তাছাড়া আপনারা আওয়ামী লীগ এর নেতারা কার পেছেনে দল করেন সেটাও একটু আপনাদের ভেবে দেখা দরকার, যে নেত্রী কিনা নিজেকে বাঁচাতে আপনাদেরকে বিপদে ফেলে দেশ ছেড়ে পালায়। দেশে অনেক ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে তাদেরকে খুজে বের করতে হবে আর যে সমস্ত ভাইয়েরা নতুন বাংলা তৈরীতে শহীদ হয়েছেন তাদেরকে অন্তর্ভূক্তি করে ভাতার আওতায় আনতে হবে।
সর্বশেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত ও বেগম খালেদা জিয়ার আরগ্য কামনা করে অবস্থান কর্মসূচির সমাপ্তি করা হয়।
উক্ত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জনাব জাহাঙ্গীর ফরাজী, এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন মির্জাগঞ্জ উপজলা স্বেচ্ছাসেবক দল এর আহবায়ক মো:রফিকুল ইসলাম,উপজেলা যুবদল এর আহবায়ক গাজী রাশেদ শামস,সদস্য সচিব গাজী মো:আতাউর রহমান,উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আবুল বাশার মোকলেচ,উপজলা যুবদল নেতা মো:শফিকুল ইসলাম (শফিক),সুজন হাওলাদার,জুয়েল মৃধা,বাবুএবং আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অবস্থান কর্মসূচির আগে সুবিদখালী কলেজ রোড হতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে সুবিদখালী বন্দর প্রদক্ষিন করে এসে সমাবেশ স্থলে এসে জড়ো হয়।