বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সমাজ সেবায় অফিস সহায়ক শাহাজানের দালাল শাহানারা ওরূপে বেদনাকে নিয়ে ভাতা প্রত্যাশিদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে ভাতা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কিছু প্রতারক চক্র বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, শিশু ভাতা করে দেওয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে সমাজ সেবার অফিস সহায়ক সহ বেশ কিছু প্রতারক চক্রের।
সরজমিনে গণমাধ্যমকর্মী এক প্রতারক চক্রের সদস্য শাহানারা ওরূপে বেদনাকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি আনুমানিক কত জনের কাছ থেকে ভাতা করে দেওয়ার উপলক্ষ্যে টাকা নিয়েছেন? তিনি বলেন, আমি আনুমানিক ২৫ জনের কাছ থেকে ভাতা করা উপলক্ষ্যে ৭ হাজার টাকা নিয়ে শাহানারা ওরূপে বেদনাকে টাকা দেই৷ শাহানারা ওরফে বেদনার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি একাধিক লোকের কাছ থেকে বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, শিশু ভাতা উপলক্ষ্যে ৭ হাজার টাকা নিয়ে সমাজ সেবায় অফিস সহায়ক শাহাজানের মাধ্যমে একাধিক লোকের প্রতিবন্ধী ভাতা করেছি।
গণমাধ্যমকর্মী শাহানারা ওরফে বেদেনার কাছে জানতে চাইলে কীভাবে সমাজ সেবার অফিস সহায়ক শাহাজান কে চিনেন তিনি বলেন আমার বাচ্চার প্রতিবন্ধী ভাতা করি শাহজাহান এর মাধ্যমে। তারপর থেকে শাহজাহানের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক এবং শাহাজান আমাকে বলে যদি কেউ প্রতিবন্ধী ভাতা করে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। বেদেনা বলেন, শাহাজান প্রথম দিকে আমার কয়েকটা ভাতা করে দেন ৬০০০ হাজার টাকা নিয়ে। তারপর থেকে আমি একাধিক লোকের কাছ থেকে ৭০০০ হাজার টাকা এনে ৬০০০ হাজার টাকা শাহাজানকে দেই। এবং কয়েকটা ভাতা করেছি তাদের প্রথম মাসে পার্সোনাল বিকাশ নাম্বার দিয়ে ২৫০০ টাকা করে দিয়ে তাদের সাথে আরো ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলি আমি। এরপর থেকে শাহাজান আমাকে আর ভাতা করে দেন না এবং আমার টাকাগুলো ফেরতও দেন না। এক পর্যায়ে সাংবাদিক জানাজানি হলে তিনি কিছু টাকা করে ফেরত দেন এবং এ বিষয়ে কারো কাছে অভিযোগ করতে মানা করেন। বেদেনার স্বামী ফিরোজ একাধিক লোককে মাজারে চাকরি দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন এই প্রতারক চক্রের মূল হোতা বেদেনার স্বামী ফিরোজ ।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া সমাজ সেবার অফিস সহায়ক শাহাজানের বক্তব্যের জন্য তার মুঠোফোনে একাধীকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার প্রকাশ চক্রবর্তী বলেন, আমার অফিসে যদি কোন কর্মকর্তা জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।
তাই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশবাহিনী কাছে বিশেষ অনুরোধ এই ধরনের প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জোর দাবি ভুক্তভোগীদের।