স্টাফ রিপোর্টার: সোমবার প্রকাশিত হয় ১৪তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৯ হাজার ৮৬৩ জন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ফল জানানো হয়। কিন্তু, ফল প্রকাশের পরপরই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা। ফলাফলের পদ্ধতি, প্রিলিতে না টিকেও রিটেন পরীক্ষায় পাস করা সহ উঠে এসেছে একাধিক অভিযোগ।
জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ এনটিআরসিএ তথ্য অনুসন্ধান সহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় স্কুল পর্যায়ে এবং কলেজ পর্যায়ে সর্বমোট ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩১৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে স্কুল-২ পর্যায়ে ৬২৪ জন, স্কুল পর্যায়ে ১৫ হাজার ৩৬২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ৩ হাজার ৮৭৭ জনসহ মোট ১৯ হাজার ৮৬৩ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন।
এ বিষয়ে অভিযোগ করে মো: মোস্তাফিজুর রহমান নামে একজন লিখেছেন, ‘১৪ তম লিখিত পরীক্ষার রেজাল্ট কি কাট মার্ক এর ভিত্তিতে নাকি পাশ মার্কস (৪০ নম্বর)? কিসের ভিত্তিতে রেজাল্ট দিলো বুঝলাম না?? পাশ মার্কস তো ৪০। আর আমার স্কুল নিবন্ধনে (ইংরেজি বিষয়ে) কমপক্ষে ৬৫-৭০ ও কলেজ নিবন্ধনে (ইংরেজি) ৬০-৬৫ থাকবে। অথচ, আমি পাশ করতে পারলাম না….বিজ্ঞাপনে তো বলা আছে পাশ মার্কস ৪০। কিসের ফলাফল দিলো, কেউ জানলে জানাবেন প্লিজ….’
এসেছে পরীক্ষা না দিয়েও পাশের মতো গুরুতর অভিযোগ। এ বিষয়ে ফয়সাল আহাম্মেদ খান নামে একজন লিখেছেন, ‘১৪ তম নিবন্ধনে আমার বন্ধু প্রিলিতে টিকে নায় কিন্তু গতকাল এসএমএস আসছে রিটেনে পাশ। ওয়েবসাইটেও দেখি রিটেনে পাশ। পরীক্ষা না দিয়েই যদি পাশ হয় পরীক্ষার দরকার কি?’
স্বাগত আচার্য্য নামের এক পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, ১০০ তে ১০০ উত্তর করে ৮৫+ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেও উত্তীর্ণ হই নাই। এটাকে প্রহসন বলেলও ভুল হবে। এজন্য এনটিআরসিএ কে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। জেলায় যদি বিষয়ভিত্তিক পদ খালি না থাকে তবে প্রিলিমিনারি পাশ করালো কেনো?
অন্য এক পরীক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার অর্নাসে ফার্স্ট ক্লাস পেয়েও ৭০ নাম্বার বেশি, মার্স্টাসে ফাস্ট ক্লাস পেয়েও ৫৬ নাম্বার বেশি। জীবনে কোনো পরিক্ষায় ফেল মারি নি, ১৪ তম স্কুল, কলেজ দুটোতেই সবোর্পরি ৭০+ পাব। কিন্তু নট কোয়ালিফাইড! এদের নামে রিটে যাবো ইনশাল্লাহ।
এই ফলাফলের বিরুদ্ধে রিট করার কথা বলেন আরও এক পরীক্ষার্থী, তার ভাষায়, যারা ১৪তম নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হন নাই।
আসুন আমরা সবাই পেপারগুলা পুনঃনিরীক্ষার করার জন্য মহামান্য হাইকোর্টে রিট করি।
একই কথা বলেন মনিরুজ্জামান খানও, এইটা কি দেখে রেজাল্ট দিলো বুঝলাম না। আমি রিট করবো।
উপরোক্ত পরীক্ষার্থীরা ছাড়াও এমন অভিযোগের সংখ্যা অগণিত। যা এই ফলাফলকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।