রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ঠাকুরগঞ্জ গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী পরকিয়া প্রেমের কারণে আয়েশা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধু ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। সে বালাপাড়া ইউনিয়নের শোভানগঞ্জ বালাপাড়া গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের কন্যা।মঙ্গলবার বিকালে আয়েশা ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে পরিবারের লোকজন আয়েশাকে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করান।ডিমলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আয়েশা বলেন, আমার সাথে মধ্য ছাতনাই গ্রামের কাশেম আলী পুত্র ফয়েজ উদ্দিন (২৫)এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে । স্বামী ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আমার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে আমাকে ফয়েজ উদ্দিনের বাড়ীতে গিয়ে উঠতে বলেন, কিন্তু ফয়েজ বিয়ের কথা বলতে গেলে ফোন কেটে দিয়ে লাপাত্তা। তবে আমি বর্তমানে আমার স্বামীর কাছে যেতে চাই ও ফয়েজের শাস্তি চাই ।আয়েশার মা আবেদা বেওয়া বলেন, এলাকার লম্পট ফয়েজ উদ্দিনের জন্য আমার মেয়ের সংসারটা ভেঙ্গে গেল। আমার মেয়ে পারছে না সংসার করতে, না পারছে ফয়েজকে বিয়ে করতে! এ কারনে আত্মহত্যার জন্য গুমের ঔষধ খেতে মরতে বসে । আয়েশার স্বামী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকের কাজ করতে যাই আর আমার স্ত্রী ফয়েজকে ডেকে নিয়ে প্রায় আমার বাড়ীতে রাখে। আমি তাকে নিয়ে আর সংসার করতে চাই না। তার পরিবারকে ডেকে সব বলে দিছি। আমার ৩ বছরের জান্নাতি নামে এক কন্যা আছে তারা আমাকে আমার মেয়েকে দেয়নি।আত্মহত্যার চেষ্টার বিষয়টি সম্পর্কে বলেন, আমি কিছুই জানি না। গত ৩দিন থেকে সে তার পিত্রালয়ে আছে।এ বিষয়ে লাপাত্তা প্রেমিক ফয়েজ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, আয়েশা আক্তারের সাথে আমার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই, তার তো স্বামী রয়েছে।