রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৮:৫৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ছেলের ব্রেনওয়াশের চেষ্টার অভিযোগ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে সাবেক স্ত্রী মিমের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধবিরতি সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারত, স্থগিত হতে পারে এশিয়া কাপ আন্দোলনে নামা দলগুলোর উদ্দেশ্যে সরকারের নতুন বার্তা সারাদেশে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ ১৫ শহরে পাকিস্তানের হামলা ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি ভারতের নারী অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চায় বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র এপ্রিলেও বাড়তি রেমিট্যান্স, এলো ৩৩ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা কোস্ট গার্ডের অভিযানে হালিশহর এলাকা থেকে সোয়া ৪ কোটি টাকার বিদেশি মদ ও বিয়ারের চালান জব্দ মুন্সিগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
‘এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন নেবে কোটা সংস্কার কমিটি’

‘এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন নেবে কোটা সংস্কার কমিটি’

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার কমিটির মুখপাত্র যুগ্ম-সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেছেন, বাস্তবধর্মী যে তথ্যগত বিষয় রয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমরা প্রতিবেদন এখনও পাইনি। সেগুলো পেলে আমরা বসবো। আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব পারলে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিব।

আজ রবিবার সকালে সচিবালয়ে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সুপারিশ দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট গঠিত কমিটি প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

আজ রবিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দপ্তরে এ বৈঠক  হয়।

মহিউদ্দিন বলেন, আন্দোলনকারীরা না জেনে বিভিন্ন সময়ে নানান দাবি তুলছেন। অনেকে তথ্য না জেনেও আন্দোলন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন এ বিষয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। সে জন্য এ শক্তিশালী কমিটি গঠন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গত সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করা হয়। কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, সরকারি কর্ম কমিশনের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব। কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশে কমিয়ে আনার দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’।

আন্দোলনের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল সংসদে বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতিই আর রাখা হবে না। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে আন্দোলন স্থগিত করলেও কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন আশা করে আসছিল আন্দোলনকারীরা।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত; এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com