বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি’র নোবেল পদক কেড়ে নেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। বুধবার কমিটির পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধনযজ্ঞের ঘটনায় দুনিয়াজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চি। ২৭ আগস্ট ২০১৮ সোমবার জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী ও নোবেল বিজয়ী অং সান সু চি সরকার প্রধান হিসেবে নিজের ক্ষমতা কাজে লাগাননি অথবা তাদের রক্ষায় দায়িত্ব পালনে বিকল্পও অনুসন্ধান করেননি। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সু চি’র নোবেল শান্তি পুরস্কার বাতিলের দাবি আবারও সামনে আসে।
বুধবার নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির সেক্রেটারি ওলাভ জোয়েলস্টাড বলেন, ‘এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, পদার্থবিজ্ঞান, সাহিত্য বা শান্তিতে নোবেল দেওয়া হয় এ পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের মতো প্রচেষ্টা বা অতীতের অর্জনের জন্য। অং সান সু চি শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন ১৯৯১ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য তার লড়াইয়ের জন্য। এছাড়া নোবেল পদকের নিয়ম অনুযায়ী, এ পুরস্কার প্রত্যাহারের কোনও সুযোগ নেই।
এর আগে সোমবার প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যার উদ্দেশ্যে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ চালিয়েছে বর্মি সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাং এবং আরও পাঁচজন জেনারেলের রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর দায়ে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পাঁচ জেনারেলের এজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং অং। যার নেতৃত্বে ৩৩তম লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন পরিচালিত হয়। এই জেনারেলের অধীনস্ত এলাকা উপকূলীয় গ্রাম ইন দিনে ১০ রোহিঙ্গাকে ধরে হত্যা করা হয়েছিল।
জাতিসংঘের এই তদন্ত কমিটিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল মারজুকি দারুসমান। কমিটি ২০ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এটি প্রকাশের পর জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক বর্মি সেনাপ্রধানসহ দেশটির বেশ কয়েকজনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং কয়েকটি পেজ বন্ধ করে দেয়।