নিজস্ব প্রতিবেদক:
নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল মদনে ছেলের ছোট বেলার ইচ্ছে পূরণ করতে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা দিয়ে হেলিকপ্টার ভাড়া করলেন বাবা এবং হেলিকপ্টার দিয়ে ৬ কিলোমিটার দূরত্বে পাশের গ্রাম থেকে বউ আনলেন স্বপ্নবাজ ছেলে মাসুদ খান। তিনি পেশায় একজন ট্রাক্টর চালক। কিন্তু শখ পূরনে আয়োজন করলেন বিশাল। আর প্রথম বারের মতো হেলিকপ্টারে বঊ বরযাত্রা দেখে গ্রামের মানুষও ভিড় করলেন কনে এবং বরের বাড়িতে।
মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের মতিউর রহমান ছেলেন শখ পূরণে করলেন এমন আয়োজন।
স্থানীয় ও বর কনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পরিবারের তৃতীয় ছেলে মোহাম্মদ মাসুম খান। পেশায় তিনি ট্রাক্টর চালক। বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন পার্শ্ববর্তী ফতেপুর ইউনিয়নের ছত্রকোনা গ্রামের কৃষক আশাহিদ তালুকদারের মেয়ে রিমা আক্তারের সঙ্গে। দুই গ্রামের দূরত্ব মাত্র ছয় কিলোমিটার। কিন্তু শখ ছিলো নববধূকে তুলে আনবেন হেলিকপ্টারে। তাই তিনি জুম্মার নামাজের পর উপজেলার নায়েকপুর পূর্বপাড়া বাড়ির সামনে জমির খালি জায়গা থেকে বর সেজে ওঠেন হেলিকপ্টারে। এরপর নামেন গিয়ে মাত্র ছয় কিলোমিটার দূরত্বের পথ অতিক্রম করে ফতেপুর ছত্রকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। এরপর কনের বাড়ি পৌঁছেন। কয়েক মিনিটের ওঠা নামার পর বিদ্যালয় মাঠ থেকে তিনি কনের বাড়িতে গিয়ে খাবার শেষে বিয়ের সকল নিয়ম সম্পন্ন করে নববধুকে নিয়ে ফিরেন হেলিকপ্টারে। এদিকে বরের আগেই বরযাত্রী কনের বােিত গিয়ে উপস্থিত হন এবং তারা নেমে আসার আগেই ফিরে আসেন। গ্রামে এমন আয়োজন প্রথম বারের মতো দেখে ভীড় জমান আশপাশের মানুষ।
বর মোহাম্মদ মাসুম খান বলেন, আমি একজন ট্রাক্টর চালক। আমার ইচ্ছে ছিল আমার বউকে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি তুলবো। আমার পরিবার ১লাখ ৭২ হাজার টাকায় হেলিকপ্টার ভাড়া করে এই ইচ্ছেপূরণ করেছে। এতে করে কনেসহ সকলেই ভীষণ খুশি।
বরের পিতা মোহাম্মদ মাসুম খানের বাবা মোঃ মতিউর রহমান খান বলেন, আমার ছেলের ইচ্ছা পূরণ করতেই এই আয়োজন। কনে এবং কনের পরিবারও খুশি হয়ে তারাও বেশ আনন্দ পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার সফি জানান, হেলিকপ্টারে বরযাত্রী আসার বিষয়টি তাঁদের উপজেলায় এই প্রথম। তাই সবাই খুব আনন্দ পেয়েছে।