সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৮ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সে হিসেবে
আজ ২৮ নভেম্বর ছিলো প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন।
শেষ দিনে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের দুই হেভিওয়েট প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দলবল নিয়ে মনোনয়পত্র
দাখিল করতে দেখা গেছে।
বুধবার দুপুর ১২টায় ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আওয়ামীলীগের পক্ষে সাবেক পানি সম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন
শতাধিক দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং অফিসার ড.কে.এম কামরুজ্জামান সেলিমের
হাতে তাঁর মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
অপরদিকে একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলা বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীসহ জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং
অফিসার ড.কে.এম কামরুজ্জামান সেলিমের হাতে তাঁর মনোনয়ন পত্র জমা দেন বিএনপি মহাসচিব ও সাবেক বিমান
প্রতিমন্ত্রী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রমেশ চন্দ্র সেন মনোনয়ান পত্র জমা দেওয়ার পরে রমেশ চন্দ্র সেন সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে
উন্নয়ন করে গেছে তার কোন বিকল্প নেই। সেই সাথে আমাদের ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন জায়গায় এই সরকারের
উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। আমরা আশাবাদী সামনের নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আ:লীগ সরকারের বিজয়ী নিশ্চিত
হবে।
মনোনয়ন পত্র দাখিলের পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে
আমরা অংশগ্রহন করছি আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে। গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি
দাবীতে, দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে, মানুষের অধিকারকে ফিরিয়ে আনতে, ভোটের অধিকারকে ফিরিয়ে আনতে,
দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করতেই আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছি। গণতান্ত্রিক নির্বাচন যদি হয়, স্পেইস
যদি পাওয়া যায় তাহলে জনগন অবশ্যই বিজয়ী হবে এবং শৈরাচারের পতন হবে।
এর আগে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিজ বাসভবনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহন করেন।
মনোনয়নপত্র গ্রহণকালে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম ও জেলা পুলিশ
সুপার মোহা. মনিরুজ্জামান সহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার(২৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে এক
ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, কোনও প্রার্থী ৫ থেকে ৭ জনের বেশি লোক নিয়ে
মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন না। রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কোনও প্রার্থী বাস
ও ট্রাক মিছিল, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা, মশাল মিছিলসহ কোনও ধরনের শোডাউন করতে পারবেন না। তিনি বলেন,
রির্টানিং অফিসার ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছি, এগুলো প্রতিহত করা এবং
আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা জনপ্রশাসনসহ সরকারের
সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, তারা যেনো কেউ রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফ না করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারাও যেনো
কারও ব্রিফে অংশ না নেন। তিনি আরও বলেন, কোনও সংসদ সদস্য সংসদের স্টিকার ব্যবহার করে মনোনয়নপত্র দাখিল
করতে পারবেন না এবং নির্বাচনী এলাকায় যেতে পারবেন না। কোনও মন্ত্রীও মনোনয়নপত্র জমা দিতে চাইলে তাকে
ব্যক্তিগত গাড়িতে করে যেতে হবে।এসব না মানা হলে সেটা আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে।