সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ইপিজেডে দুই পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আহত ২০ মির্জাপুরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিএনপি নেতা সাঈদ সোহরাব-এর কম্বল বিতরণ অভিযোগ প্রমাণিত হলে টিউলিপকে দেশে ফেরত পাঠানো উচিত: ড. ইউনূস বাকলিয়ায় সানরাইজ গ্রামার স্কুলের ২৫তম শাখার শুভ উদ্বোধন মাস ব্যাপি পর্যটন মেলা উদ্বোধন হয়েছে কুয়াকাটায় যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ দাবানলে পালাচ্ছেন মানুষ, পুড়ে ছাই ১১০০ ঘরবাড়ি সিরাজগঞ্জে টাকাসহ তিন ছিনতাইকারী আটক সিরাজগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস আটক উত্তরায় শীতবস্ত্র বিতরণে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হাই ভূঁইয়ার মানবিক উদ্যোগ পোশাকে বাবার বিধিনিষেধ, কীভাবে শোবিজে এলেন প্রিয়াঙ্কা?
রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় পৃথক থানা স্থাপনের সুপারিশ

রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় পৃথক থানা স্থাপনের সুপারিশ

রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কুতুপালংসহ সংশ্লিষ্ট এলাকা নিয়ে আলাদা থানা স্থাপনের সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। রবিবার কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে ওই এলাকায় বেষ্টনী দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি। বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মো. ফরিদুল হক খান, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মো. ফখরুল ইমাম ও কামরুন নাহার চৌধুরী এবং জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য ফখরুল ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আর্মড পুলিশ সেখানে কাজ করছে। কিন্তু বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গার সংখ্যা তো ১০ লাখ। তাদের সুরক্ষার বিষয়টিও দেখতে হবে। সে জন্য আমরা পুলিশের একটি আলাদা থানা স্থাপন করার সুপারিশ করেছি। তিনি জানান, কুতুপালং ক্যাম্পসহ কক্সবাজারে অবস্থিত সব রোহিঙ্গা শরণার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ‘ফেন্সিং’ কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার সুপারিশ করেছে কমিটি।

বৈঠকে জানানো হয়, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা ১০ লাখ ৩৮ হাজার রোহিঙ্গার নিবন্ধন করা হয়েছে। এর ফলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্র করতে পারবে না। আরো জানানো হয়, কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে অবস্থিত ১৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ও এককভাবে পৃথিবীর বৃহত্তম শরণার্থী ক্যাম্পে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কক্সবাজারের বনাঞ্চল যাতে হুমকির মুখে না পড়ে, সেজন্য কমিটি রোহিঙ্গাদের রান্নার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে জ্বালানির ব্যবস্থা করতে সুপারিশ করেছে। কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে চাল, ডাল, তেল, নুন সরবরাহ করা হলেও তাদেরকে জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে না। সে কারণে তারা পাহাড়ের গাছ কেটে জ্বালানি হিসেবে তা ব্যবহার করছে।

যার ফলে পাহাড় পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে। সে কারণে এই সাড়ে ১০ লাখ মানুষ কিভাবে রান্না করবে, কি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করবে তা নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কমিটি।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com