মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:২০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতন্ত্র বনাম রাজনীতি: সংকটে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রগতি লাইফের ১৫% নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন দর বৃদ্ধির শীর্ষে রূপালী ব্যাংক কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারীতে সারের দাবিতে কৃষকদের সড়ক অবরোধ তরুণদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে: প্রধান উপদেষ্টা ব্র্যাক ব্যাংকের সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খানকে প্রগতি লাইফের শুভেচ্ছা বিধিবহির্ভূত বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগ, আইডিআরএ চেয়ারম্যানকে দুদকে তলব নাইজেরিয়ায় বিয়ের বাস নদীতে পড়ে প্রাণ গেল ১৯ জনের গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের সিইও পদে ফারজানা চৌধুরীর পুনঃনিয়োগ বৈষম্যের শিকার খালেক মিয়া ইসলামী ইন্সুরেন্সে স্বপদে ফিরতে চান
সরকারকে জিম্মি করে বিদ্যুৎকেন্দ্র করাচ্ছে ভারত-চীন: টিআইবি

সরকারকে জিম্মি করে বিদ্যুৎকেন্দ্র করাচ্ছে ভারত-চীন: টিআইবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সরকারকে জিম্মি করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে ভারত ও চীন বাধ্য করছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট বা গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকের সঙ্গে টিআইবির সংহতি প্রকাশ ও প্রতিবাদ র‌্যালিতে এ মন্তব্য করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। এই কার্যক্রমে কয়েক শত শিক্ষার্থী, পরিবেশ আন্দোলনকারী ও বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন অংশ নেয়।

তিনি বলেন, তিনি বলেন, ‘সরকার ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিনিয়োগকারীদের কাছে দাবি জানাব, বৈশ্বিক কয়লাভিত্তিক গ্রুপদের চক্রান্ত থেকে সরে যেতে হবে। বিশেষ করে ভারত ও চীন। তারা নিজেদের দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে সরে গিয়ে আমাদের দেশে এসে আগ্রাসীর সাথে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নে সরকারকে জিম্মি করে দাবি আদায় করছে।’

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বৈশ্বিক শত্রুর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমাদের ঘরের শত্রু কিন্তু আরও বেশি বিভীষণ। কারণ ঘরের শত্রু এখন বাংলাদেশকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বৈশ্বিক হারে রূপান্তর করছে।’

সারা বিশ্বই যখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে সরে আসার চেষ্টা করছে, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে জাতীয় কৌশলের অংশ হিসেবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্ভর হয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যারা কার্বন নিঃসরণকারী জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে, পরিকল্পনা গ্রহণ করছে; তাদেরকে এই আত্মঘাতী পথ থেকে সরে আসার আহ্বান জানাই। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখছি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ খাতে মহাপরিকল্পনার যে খসড়া করেছেন সেখানে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে কয়লাভিত্তিক ২০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র করবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু কয়লা পুড়িয়ে ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায়। অথচ গ্রিনপিসের তথ্যমতে শুধু মাতারবাড়িতে এক হাজার ৩০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হলে পরবর্তি ৩০ বছরে ওই এলাকায় ১৪ হাজার মানুষের অকাল মৃত্যু হবে। বিশ্বের অন্যসব দেশ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও আমাদের সরকার এতে নিজেদের জড়িয়ে নিচ্ছেন যা অস্বাস্থ্যকর এবং উদ্বেগজনক।

তিনি বলেন, বিশ্বের এখনো যেসব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত তারা সেখান থেকে সরে আসবেন। যারা পরিবেশের ক্ষতি করেছেন তারা ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রতি যদি নূন্যতম দায়বদ্ধতা থাকে তাহলে কোনো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে পারে না। এ সময় তিনি বিশ্বের সব দেশকে এ প্রকল্প থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।

প্রতীকী অবস্থান ধর্মঘটে টিআইবির সহযোগী সংগঠনগুলো অংশ নেয়।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com