শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন

এফিডেভিট শাখায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান, আটক ৪৩ জনকে বারের জিম্মায় মুক্তি

এফিডেভিট শাখায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান, আটক ৪৩ জনকে বারের জিম্মায় মুক্তি

আদালত প্রতিবেদক: সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এফিডেবিট শাখায় অভিযান চালিয়ে ৪৩ জন আইনজীবী সহকারী ও তদবিরকারককে আটক করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আইনজীবী সহকারি ও তদবিরকারকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও আজ রবিবার তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন শাখায় ধীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মাঝে মাঝে দু’একজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিচ্ছিল। এ অবস্থায় গত ৮ আগস্ট বিভিন্ন শাখার অনিয়ম দূর করতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রধান বিচারপতির কাছে আহ্বান জানান। ওইদিন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠক করেন সমিতি নেতৃবৃন্দ। ওই বৈঠকেই প্রধান বিচারপতি দুর্নীতি অনিয়মের বিষয়ে জিরো টলারেন্সের ঘোষনা দেন। তিনি আইনজীবী নেতাদের বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেদিন এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

এদিকে এফিডেবিট শাখার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। একারণে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এফিডেভিট শাখায় আইনজীবী সহকারী (ক্লার্ক) ও তদবিরকারকদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আইনজীবী সহকারিরা ও তদবিরকারকরা সেখানে যাচ্ছিলেন। এ খবর পেয়ে আজ বেলা ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের ২ নম্বর প্রশাসনিক ভবনে আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী অভিযোন পরিচালনা করেন। তার সঙ্গে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল আলম ভুঁইয়া, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী ও হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।

এসময় সেখানে অবস্থানকারী ৪৩ জন আইনজীবী সহকারী ও তদবিরকারককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। খবর পেয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ সমিতি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হন। পরে সমিতির নেতৃবৃন্দের জিম্মায় তাদের ছাড়িয়ে নেন। পরে সমিতি নেতারা অভিযুক্তদের নাম, ঠিকানা সংগ্রহ শেষে তাদেরকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়।

রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট একটি পবিত্র বিচারাঙ্গন। এখানে ঘুষ, দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে। এ যুদ্ধে আমরা সকলে শরিক হতে চাই। সকলকে প্রশাসনিক সকল নিয়ম মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন, ৪৩ জন এফিডেবিট শাখায় বিনা অনুমতিতে অবস্থান করায় তাদের আট করেছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। আমরা তাদের ছাড়িয়ে এনেছি। তাদের বিরুদ্ধে সমিতি বসে সিদ্ধান্ত নেবে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com