রবিবার, ২০ Jul ২০২৫, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আবাসন নিশ্চিত করতে হবে: আদিলুর রহমান খান শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিএনপি’র নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবী ‘একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে’ খরিপের পর রবি সবজিতে স্বপ্ন দেখছেন লালমনিরহাটের চাষিরা মাদকের অভয়ারণ্য লালমনিরহাট তারেক রহমানকে কটুক্তির প্রতিবাদে রূপগঞ্জে যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশ রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের পুরস্কার দিল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোন জুলাই অভ্যুত্থানের ৮ শহীদের স্মরনে দিনাজপুরে ৮ লক্ষ বৃক্ষরোপণ জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে বিপুল উপস্থিতি চাঁদাবাজি বিরোধী অভিযানে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে সেচ্ছাসেবক দল নেতাসহ ৩ জন গ্রেপ্তার
কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন নিরপরাধ সেই মিনু

কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন নিরপরাধ সেই মিনু

আদালত প্রতিবেদক: প্রায় তিন বছর বিনা অপরাধে সাজা ভোগের পর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন মিনু। আজ বুধবার (১৬ জুন) বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়েছেন মিনু। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ দেওয়ান মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আদালতের আদেশ পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে মিনুকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এর আগে বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত মিনুকে মুক্তির আদেশ দেন। আদালতের পেশকার মো. ওমর ফুয়াদ বলেন, আদালত মিনুর মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। আদেশের কপি কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, হাইকোর্ট মিনুর বিষয়ে যাচাই-বাছাই করতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা দিলে তার ভিত্তিতে মিনুকে মুক্তির জন্য আদালতে মিনুর আইনজীবীকে বন্ড দিতে বলা হয়।

নামের মিল না থাকার পরও কুলসুম আক্তার কুলসুমী নামে এক নারীর পরিবর্তে মিনু কারাভোগ করছিলেন। কোনো কিছুর মিল থাকায় একজনের স্থলে আরেকজন জেল খাটার বিষয়টি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান আদালতের নজরে আনেন।

২০০৬ সালের জুলাই মাসে নগরের কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জের একটি বাসায় মোবাইলে কথা বলা নিয়ে গার্মেন্টসকর্মী কহিনূর আক্তারকে গলা টিপে হত্যার ঘটনা ঘটে। এরপর মরদেহটি একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। কিন্তু কহিনূর আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন অপরাধী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়।

পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে কহিনূরকে হত্যা করা হয় বলে প্রতিবেদন দেন। এতে আসামি করা হয় কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে আদালত কহিনূর আক্তার হত্যা মামলায় আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। তবে সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলি মিনু ২০১৮ সালের ১২ জুন কারাগারে যান।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com