বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র মহররম উপলক্ষে রাজধানীর হোসেনি দালানে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া মিছিল। তবে অন্যান্যবারের মতো এবার হোসেনি দালানের বাইরে জাকজমকপূর্ণভাবে বের হয়নি তাজিয়া মিছিল।
এদিকে ভোর থেকে হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় আসতে থাকেন ভক্তরা। ইমামবাড়া চত্বর ছোট হওয়ায় অনেকেই ভেতরে ঢুকতে পারেনি। ইমামবাড়ার উত্তর দিকের প্রধান ফটকে দুটি এবং দক্ষিণের গেটে দুটি করোনা প্রতিরোধক জীবাণুনাশক টানেল বসানো হয়েছে। তবে এসব টানেল দিয়ে ঢোকার সময় জীবাণুনাশক স্প্রে বন্ধ ছিল। ইমামবাড়ায় ঢুকলেই প্রথমে পড়ে খোলা মাঠ। সে মাঠেই জড়ো হতে থাকেন তারা।
নিশান ও পাকপাঞ্জা নিয়ে কালো–সবুজ পোশাক পরা কিশোর-তরুণ-যুবকেরা ইমামবাড়ার এদিকে–ওদিকে ঘুরছিলেন। ঠিক সকাল ১০টায় বের হয় মহররমের শোকের মিছিল। হোসেনি দালান ইমামবাড়া প্রাঙ্গণেই মিছিলটি ঘুরপাক খায়।
ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে এই মিছিলের শুরুতে যুবকেরা ছিলেন নিশান–পাকপাঞ্জা নিয়ে। তারপর ছিল দুটি দুলদুল ঘোড়া। এরপর ছিল হাসান ও হোসেইনের তাজিয়া। সবশেষে ছিলেন কালো পোশাক পরা তরুণেরা। তারা সংক্ষিপ্ত মিছিলের সঙ্গে ‘হায় হোসেন! হায় হোসেন!’ বলে আশুরার মাতম করছিলেন।
মহররমের এই আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা শিয়ারা। তবে সুন্নিরাও এতে অংশ নেন। এমনকি মহররমের দিন হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় আসেন পুরান ঢাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং অন্য সম্প্রদায়ের মানুষও।
ইমামবাড়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিবছরের মতো এবারও প্রচুর জনসমাগম হয়েছে। তবে ইমামবাড়া চত্বর ছোট হওয়ায় অনেকেই ভেতরে ঢুকতে পারেনি।
হোসেনি দালান ইমামবাড়া মিছিল পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ বাকার রেজা মাজলুম বলেন, ‘৪০০ বছর ধরে এখান থেকে ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। এ বছর করোনার কারণে তা সীমিত আকারে করা হচ্ছে। এজন্য মিছিল আয়োজনে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাব যাতে আর বিস্তার না হয়, এটা মেনে নিয়েছি। আমরা যেন আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি, এটাই প্রার্থনা করছি। আজকের দিনে এটাই চাওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইমামবাড়া প্রাঙ্গণও মানুষে ঠাসা ছিল। বাইরে মিছিল করতে দেওয়া হলে এই সমস্যাটা হতো না। ইমামবাড়া প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য আমরা চেষ্টা করেছি।’