বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কবিতা পড়লে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রে কী ঘটে? নরসিংদীতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতির অভিযোগ নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা বিজয় দিবসে কোনো নাশকতার সম্ভাবনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে এক হচ্ছে সাত কলেজ ৬৭৮ কোটি মানিলন্ডারিং, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মালিকের বিরুদ্ধে মামলা নরসিংদীতে অতিরিক্ত নামজারী করে অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলনের চেষ্টা—জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নরসিংদীর করিমপুর ইউনিয়নে বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী আর নেই

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৬ মার্চ, ২০১৮
  • ৫৩১

ভিশন বাংলা ডেস্ক: মুক্তিযোদ্ধা-ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী (৭১) আর নেই। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় রাজধানীর বেসরকারি ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

ল্যাব এইড হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সাইফুর রহমান এ খবর নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খ্যাতিমান মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট-সিসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা গেছেন।

জানা গেছে, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী হৃদরোগের পাশাপাশি ডায়াবেটিস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

এর আগে গত নভেম্বরে নিজের বাসায় বাথরুমে পড়ে গোড়ালিতে চোট পান ৭১ বছর বয়সী এ মুক্তিযোদ্ধা-ভাস্কর। তখনও তাকে ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত ১১ ডিসেম্বর এক অস্ত্রোপচারের পর তার একটি হার্ট অ্যাটাক হয়, পরে দেখা দেয় ইউরিন ইনফেকশন।

এরপর ভাস্কর প্রিয়ভাষিণীকে বিএসএমএমইউর সিসিইউ থেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র-আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে ২০ ডিসেম্বর চিকিৎসা শেষে অনেকটা সুস্থ হয়ে তিনি বাসায় ফিরেন। এর ৮৩ দিনের মাথায় অসুস্থ হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এই কিংবদন্তি সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব।

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী ১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পদক পান। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব প্রদান করে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com