সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিজেলের দাম কমানো কিংবা ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো রবিবার (৭ নভেম্বর) অব্যাহত রয়েছে সড়ক পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকদের ধর্মঘট।
বাস ও ট্রাকের পর সারা দেশে লঞ্চও বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে রাস্তায় চলছে শুধু ট্রেন ও সীমিত আকারে বিআরটিসির বাস। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। কাঙ্ক্ষিত গণপরিবহন না পেয়ে বিকল্প যানবাহনে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া।
সকালে প্রতিটি বাস স্টপেজে দেখা গেছে গাড়ির জন্য অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের ভিড়। অফিস-আদালত খোলা থাকায় বাধ্য হয়ে বের হতে হয়েছে তাদের। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, ফার্মগেট, মিরপুর, গাবতলি ও মহাখালীর বিভিন্ন বাস স্টপেজে দেখা মিলেছে একই রকম চিত্রের।
পরিবহণ ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে এই ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন জনসাধারণ। বাস-লঞ্চ বন্ধ থাকায় চাপ বেড়েছে ট্রেনেও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত দুই দিনের তুলনায় রাজধানীর সড়কগুলো মানুষের উপস্থিতি বেশি ছিল। রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড ও মোড়গুলোতে শত শত মানুষকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। বাস না থাকার সুযোগ নিচ্ছেন রিকশা ও সিএনজির মতো ছোট যানবাহনগুলো। হাঁকাচ্ছেন কয়েক গুন বেশি ভাড়া।
এ দিকে, বাসের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছেন বাস মালিকরা। জানা গেছে, জ্বালানি তেলের বাড়তি দামসহ ১৯টি খাতের ব্যয় ধরেই ভাড়া নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া চলছে। প্রতিটি ধাপেই বাড়তি দর যুক্ত করে নতুন ভাড়া নির্ধারণের দাবি করেছেন মালিকরা।