বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০২:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কবিতা পড়লে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রে কী ঘটে? নরসিংদীতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতির অভিযোগ নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা বিজয় দিবসে কোনো নাশকতার সম্ভাবনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে এক হচ্ছে সাত কলেজ ৬৭৮ কোটি মানিলন্ডারিং, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মালিকের বিরুদ্ধে মামলা নরসিংদীতে অতিরিক্ত নামজারী করে অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলনের চেষ্টা—জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নরসিংদীর করিমপুর ইউনিয়নে বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ২৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলার দিগন্ত আজ শিমুলে-পলাশে রাঙা। গাছে গাছে নবীন পাতার গুচ্ছ। প্রকৃতিতে যখন নবীনের উন্মেষের আনন্দ-উচ্ছ্বাস, তখনই মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষায় এক মর্মমূল ছেঁড়া বেদনার ঘটনা ঘটেছিল এই বাংলায়।

৭০ বছর আগের এই দিনে মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার দাবিতে শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অকুতোভয় বীর সন্তানরা নেমে এসেছিলেন রাজপথে।

বুকের তাজা রক্তে বসন্তের রাঙা ফুলের মতোই রাঙিয়ে দিয়েছিলেন ঢাকার রাজপথ।

আজ সেই বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সর্বস্তরের মানুষ। একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ বাজানো হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তাঁরা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। গত বছরের মতো এবারও কভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতির কারণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সশরীরে শহীদ মিনারে আসেননি।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর সর্বস্তরের মানুষ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা মানুষের সারি পলাশী মোড় ছাড়িয়ে নিউমার্কেট এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। কারো হাতে একটিমাত্র ফুল, কারো হাতে একগুচ্ছ। কারো হাতে ছোট পতাকা। তবে সবার মুখে অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি। ’ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মাইকে সেই সুর ছড়িয়ে পড়ছিল দিকে দিকে। মানুষের এই শ্রদ্ধা বলে দিচ্ছিল, মাতৃভাষা আর দেশের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের টান অকৃত্রিম।

করোনা পরিস্থিতির কারণে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসা নাগরিকদের কঠোরভাবে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হচ্ছে। এ ছাড়া, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশ্যে আগত সবার করোনা টিকা গ্রহণের সনদ সঙ্গে রাখার নির্দেশনা ছিল।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতিটি সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন প্রতিনিধি ও ব্যক্তি পর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের সুযোগ ছিল। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আজিমপুর কবরস্থানে যাতায়াতের জন্য একটি রুট-ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এটি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ভাষা আন্দোলন ও ভাষা শহীদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ পুরো এলাকা একুশের সাজে সাজানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে টকটকে লাল রঙের সূর্য, বেদীজুড়ে আলপনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের দেয়াল দেয়ালে মাতৃভাষা সম্পর্কিত নানা উক্তিসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে ভাষা আন্দোলনের আবহ তৈরি করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত করা হয়।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com