শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ অপরাহ্ন
পল্লবীর গৃহ সহায়িকা সেলিমা সর্দার এদিন হাজির হন গড়ফা থানায়। ক্যানিংয়ের বাসিন্দা সেলিমা এদিন ছবি দেখে শনাক্ত করেছেন ঐন্দ্রিলাকে। পল্লবীর অনুপস্থিতিতে ওই ফ্ল্যাটে সাগ্নিকের সঙ্গে ছিলেন ঐন্দ্রিলা, জানিয়েছেন তিনি। সেলিমা বলেন, ঈদের ছুটির পরদিন ফ্ল্য়াটে গিয়ে তিনি দেখেন সেখানে রয়েছেন একটি রোগা করে মেয়ে, ঐন্দ্রিলা এবং অপর এক ছেলে। সকালে ছেলেটির সঙ্গে রোগা মেয়েটি বেরিয়ে যান।
সেলিমা বলেন, ‘এরপর বউদি আমাকে মাছ আনতে বলে কাজে বেরিয়ে যায়। মেয়েটা সারা দিন ছিল। মাছ রান্না করল। এরপর আমাকে চা করতে বলল। দাদার সঙ্গে ঘরে চা খাচ্ছিল। এরপর আমি জামাকাপড় এনে দেখলাম ওরা ঘরের ভিতরে, সিটকিনি বন্ধ রয়েছে। কী করছিল আমি জানি না। ’
তবে বউদির বান্ধবীর সঙ্গে দাদার ঘনিষ্ঠতা পছন্দ হয়নি তাঁর, জানান সেলিমা দেবী। সাগ্নিকের আগে পল্লবী রেহানের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন, সেই সময় সাগ্নিক সুকন্যা মান্নার স্বামী। সেই বিয়েতে হাজির ছিলেন পল্লবী। এরপর বিবাহিত সাগ্নিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান পল্লবী। এরপর পল্লবীর ছোটবেলার বান্ধবী ঐন্দ্রিলা নাকি চলে আসেন পল্লবী ও সাগ্নিকের মধ্যে, এমনটাই দাবি প্রয়াত নায়িকার পরিবারের। সম্পর্কের জটিলতাতেই কি শেষ হয়ে গেলেন পল্লবী?
পল্লবীর পরিচারিকা আরো জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে তিনবার পল্লবীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় তাঁর। কোনো অস্বাভাবিকতা তাঁর মনে হয়নি। ওই দিন পল্লবীর সঙ্গে তাঁর হাওড়ার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল সেলিমার। কিন্তু অসুস্থ হওয়ায় তিনি আসতে পারবেন না বলে জানান। এতেই ‘মাথা গরম’ পল্লবী ফোনেই রাগারাগি করেন, শেষে ফোন কেটে দেন।
পল্লবীর বাবা নীলু দে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ফ্ল্যাটে ঐন্দ্রিলা আসত। মেয়ের মৃত্যুর জন্য ঐন্দ্রিলা ও সাগ্নিক দায়ী। তাকে খুন করা হয়েছে। তাঁর দাবি, উপযুক্ত তদন্ত হোক। দোষীদের শাস্তি হোক।
তিনি আরো যোগ করেন, ‘মেয়ে স্পষ্ট জানিয়েছিল সাগ্নিককে, দুই নৌকায় পা দিয়ে তুমি চোলো না। ’ পল্লবীর রহস্যমৃত্যুতে এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। এর মাঝেই এদিন সাগ্নিককে কলকাতার আলিপুর আদালতে হাজির করবে পুলিশ।