রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ অপরাহ্ন
সুলতান’স ডাইনের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার আশরাফুল আলম বলেন, ‘তারা সরাসরি এসে খাবারটা নিয়ে যান। তারা একটি ব্যাংকে কর্মরত। সাতটা হাফ কাচ্ছি নিয়ে যান এখান থেকে। নিয়ে যাওয়ার আধাঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট পর তারা ফোন করে বিষয়টি আমাদের জানান। ফোন দিয়ে আমাদের একজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও করেন। তারা ফোন করে বলেন, ‘আপনারা বাটপাড়ি ব্যবসা করেন, খারাপ ব্যবসা করেন। আপনারা এই ধরনের খাবার কিভাবে দেন।’ আমি তাদের সঙ্গে কথা বলি। তারা (যারা কাচ্চি নিয়ে গিয়েছিলেন) আমাকে বলেন, ‘ওই ব্যাটা, তরা বাটপাড়ি ব্যবসা করস। তরা খাবারে এসব দেস।’ আমি তাকে জিজ্ঞেস করি কী দেই? তারা বলেন, ‘তরা হাতি-ঘোরা কী দেস! বিড়ালের মাংস দেস।’ বিষয়টি আমি তাদের বুঝিয়ে বলি। আমি তাকে বলি, ‘আপনারা চাইলে আমাদের রান্নাঘর পরিদর্শন করতে পারেন। এসে দেখেন আমরা কিভাবে খাবারটা প্রক্রিয়া করি।’
যারা কাচ্চি নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের আবার খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা করে সুলতান’স ডাইন- এমনটি জানিয়ে আশরাফুল আলম অভিযোগ করে বলেন, খাবার নিয়ে যেতে যেতেই আবার ফোন করে তারা। তারা আমাকে হুমকি দেয়। বলে, ‘আমি কী এটা ভাইরাল করে দেব। র্যাবকে ফোন করে কি ধরিয়ে দেব?’
আশরাফুল আলমের দাবি, ‘খাবার নিয়ে কিছুক্ষণ পরে সেখানে যান আমাদের কয়েকজন। যাওয়ার পর তারা কয়েকজন মিলে আমাদের লোকদের টর্চার করেন। সেখানে আমিও যাই। গিয়ে বিষয়টা বোঝানোর চেষ্টা করি। তাদের বলি, আপনারা চাইলে মাংসাটা ল্যাবেও পরীক্ষা করাতে পারেন। কিন্তু তারা আমাদের চাপ দিতে থাকেন।’
কয়েকজন তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে জানিয়ে সুলতান’স ডাইনের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার আশরাফুল আলম বলেন, ‘ইজ্জতের ভয়ে আমি চলে আসি। তারপর ম্যানেজারকে জিম্মি করে রাখে। একটি ক্লাবে আটকে রেখে আমাদের ফোন করে। সন্ধ্যার দিকে তারা ম্যানেজারকে ছেড়ে দেয়। আমরা এ নিয়ে কিছু বলিনি। এই ঘটনার পর আমাদের নামে দুর্নাম ছড়ানো হচ্ছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’