বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২০ পূর্বাহ্ন

করোনাকালে সেবা দেওয়া ২৮ শতাংশ চিকিৎসক অবসাদে

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩
  • ২৬৩

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

করোনাকালে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া ২৮ দশমিক ৫০ শতাংশ মানুষ মানসিক পীড়া ও চরম অবসাদে ভুগছেন। এর মধ্যে মানসিক পীড়ায় ভুগছেন ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং চরম অবসাদে ভুগছেন ১৩ দশমিক ৩১ শতাংশ।

আলাদাভাবে চিকিৎসকদের ২৮ দশমিক ১৭ শতাংশ, নার্সদের প্রায় ৩১ শতাংশ, অন্য স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের প্রায় ২৭ শতাংশ, হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৩০ শতাংশ এবং হাসপাতালের অন্য কর্মীদের প্রায় ৩৩ দশমিক ৫১ শতাংশ মানসিক পীড়া ও চরম অবসাদে ভুগছেন।

জার্মান সাময়িকী স্প্রিঙ্গারের অনলাইনে প্রকাশিত এক বৈশ্বিক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। প্রাণঘাতি এ মহামারির সময় চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর কেমন মানসিক ধকল গেছে, সে চিত্র উঠে এসেছে ‘রেজাল্টস অব দ্য কভিড-১৯ মেন্টাল হেলথ ইন্টারন্যাশনাল ফর দ্য হেলথ প্রফেশনাল স্টাডি : ডিপ্রেশন, সুইসাইডাল টেন্ডেনসিস অ্যান্ড কন্সপিরেসিজম’ শীর্ষক এ গবেষণায়।

বিশ্বের ৪০টি দেশের জনস্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উদ্যোগে এ গবেষণা পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ থেকে এক চিকিৎসকসহ তিনজন এ গবেষণায় যুক্ত ছিলেন।

চলতি বছরের ৩ মার্চ প্রকাশিত এ গবেষণায় করোনাকালে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।

এ গবেষণায় বাংলাদেশসহ ৪০টি দেশের ৫৫ হাজার ৫৮৯ জন অংশ নেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের ছিলেন ৩ হাজার ৩৩ জন, যা মোট অংশগ্রহণকারীর ৫ শতাংশের বেশি। অংশগ্রহণকারীর সংখ্যায় রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও গ্রিসের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। মোট অংশগ্রহণকারীর মধ্যে স্বাস্থ্য পেশাজীবী ছিলেন ১২ হাজার ৭৯২ জন, যার ৬২ শতাংশ হলেন নারী।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের প্রায় ৮১ শতাংশ বিধিনিষেধের মধ্যে কাজ করে গেছেন। অংশগ্রহণকারীদের বড় একটি অংশ পরিবারের লোকজনের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো এবং সম্পর্কগুলো আরও মজবুত করার তাগিদ অনুভব করেছেন। প্রায় ৪৮ শতাংশ জানিয়েছেন, করোনার কারণে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপের দিকে গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাকালে সাধারণ মানুষ ও স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িত পেশাজীবীরা চরম মানসিক অবসাদ, অনিদ্রা ও পিটিএসডিতে (ঘটনাপরবর্তী উৎকণ্ঠা) ভুগেছেন। তবে ওই সময় তথ্যের ঝড় বইতে থাকে, সেসব তথ্যের অনেকটির নির্ভরযোগ্যতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল।

স্প্রিঙ্গারে প্রকাশিত গবেষণায় বাংলাদেশ থেকে এক চিকিৎসকসহ তিনজন যুক্ত ছিলেন। তারা হলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ তাসদিক এম হাসান ও শাহাদাত হোসেন।

হেলাল উদ্দিনের মতে, গবেষণাটি ভবিষ্যতে মহামারি বা বড় বিপর্যয়ে মানসিক সুস্থতার বিষয়ে আগাম সতর্কবার্তা দিচ্ছে। ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় মানসিক সুস্থতার জন্য সেবা, যত্ন, সচেতনতা ও প্রস্তুতি কী রকম হওয়া উচিত, সে বিষয়ে গবেষণাটি দিকনির্দেশক হবে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com