শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শেখ এশিয়া লিমিটেডের জায়গা-জমির কিছু অংশ জোর পূর্বক দখল করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বেনজীর দোষী সাব্যস্ত হলে দেশে ফিরতেই হবে: কাদের কথা, কবিতা,সংগীত ও নৃত্যে রবীন্দ্র -নজরুল জয়ন্তী ১৪৩১ উদযাপন ডেঙ্গু : মে মাসে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৪৪ প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হতে পারে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা ফখরুল ইসলাম প্রিন্স নওগাঁর মান্দায় নিয়ম-বহির্ভূত রেজুলেশন ছাড়াই উপজেলার একটি প্রাথমিক স্কুলের টিন বিক্রির অভিযোগ আর্তনাদ করা সেই পরিবারের পাসে IGNITE THE NATION ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত শরণখোলা ও সুন্দরবন নওগাঁর শৈলগাছী ইউনিয়ন পরিষদের ২০২০০৪-২০২৫ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা নরসিংদী মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে হত্যা
কারও কথাই মানছে না ডিম-আলু-পেঁয়াজ

কারও কথাই মানছে না ডিম-আলু-পেঁয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  লাগামহীনভাবে এই বাজার দর বেড়ে যাওয়ার ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজার দরে লাগাম টানতে তিনটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হলেও বাজারে গিয়ে এর সুফল পাচ্ছেন না ক্রেতারা। সরকার নির্ধারিত দাম কেউই মানছে না।

গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আলু, ডিম ও দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু বাজারে দর কোনোটির ক্ষেত্রে কার্যকর হয়নি। সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী প্রতি কেজি আলু খুচরা বাজারে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) প্রতি মাসে রান্নার জ্বালানি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করলেও তা খুচরা বাজারে কার্যকর হচ্ছে না। রাজধানীর বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। এ দর তিন দিন আগের তুলনায় কেজিতে প্রায় ৫ টাকা কম। তবে নির্ধারিত দরের চেয়ে ১০ থেকে ১৪ টাকা বেশি।

প্রতি হালি ডিমের দর নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৮ টাকা, যা বাজারদরের চেয়ে সামান্য কম। সেই দরও কার্যকর হয়নি। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তালিকা বলছে, প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা দরে।

যদিও দেশি পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। তবে বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা নির্ধারিত দরের চেয়ে ২১ থেকে ২৫ টাকা বেশি। লাগামহীন এই পরিস্থিতির কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ায় সরকার চিন্তিত। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, নতুন ফসল উঠলে এবং সরবরাহ বাড়লে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।

দেশে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করে। এরপর রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দাম আরও বাড়ে। যুদ্ধ শুরুর পর সরবরাহ সংকট, মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া, দেশে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর কারণে উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। এতে লাফিয়ে লাফিয়ে পণ্যের দাম বেড়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ১০ সেপ্টেম্বর জানায়, গত আগস্ট মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা গত ১১ বছর ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সরকার নির্ধারিত দাম না মানলে এটা করে লাভ কী এমন প্রশ্নে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, ‘বাজারদর প্রত্যাশিত পর্যায়ে আনতে আমরা সারা দেশে অভিযান চালাচ্ছি। আমাদের যা যা করা দরকার, তা করব।’

এদিকে দর কার্যকর না হওয়ার পেছনে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বড় কোম্পানি, উৎপাদক অথবা আমদানি পর্যায়ে দর কার্যকর করতে না পারা; পাইকারি বাজার ও খুচরা পর্যায়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি না থাকা; চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ভারসাম্য না থাকা এবং পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার ঘটনাকে তদারকি না করা।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, যখন আমদানির দরকার ছিল, তখন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আমদানির অনুমতি দেওয়া বন্ধ রেখেছে। দাম অনেকটা বেড়ে যাওয়ার পর আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। তত দিনে আবার ভারতে দাম বেড়ে গেছে। আলুর প্রসঙ্গে টেনে এক ব্যবসায়ী বলেন, এ বছর আলু মজুদ কম হয়েছে। সরকার এটা না জানলেও ব্যবসায়ীরা জানতেন। ফলে এখন ব্যবসায়ীরা লোকসান দিতে চাইছেন না।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com