বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ অপরাহ্ন
চট্রগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ১০ নং ধোপাছড়ির নির্ঘুম পাহাড়ের বুকে বসেছে মেঘের মেলা। পাহাড় আর পর্বতের ঢাল লাল হয়ে উঠে সকালের সূর্য। সাঙ্গুর বুক ঘেঁষে আছে মায়াবী পাহাড়। অপূর্ব এই পর্বত মালার নাম ধোপাছড়ি। চার পাশে বিছিয়ে রাখা শুভ্র মেঘের চাদরের নিচে রয়েছে সবুজ বনরাজিতে ঘেরা ঢেউ খেলানো অসংখ্য ছোট-বড় পাহাড়। তার মাঝ দিয়ে আঁকা বাকা হয়ে সর্পিল রাস্তা চলে গেছে দিগন্ত জুড়ে। পাহাড়ের বুক চিরে আপন মনে বয়ে চলা নাম জানা নদ-নদী সাঙ্গু ও ঝর্ণাধারা যে কোনো ভ্রমণ পিপাসুদের মন কাড়তে সক্ষম।ঢেউ খেলানো পাহাড়ের দেয়াল, বিভিন্ন রঙের পাহাড়ি ফুল, মেঘ-সূর্যের লুকোচুরি আর পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে মেঘের ভেলা আর বুক ভেদ করে উঠা পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে আপনাদের আসেতেই হবে এ জনপদ ধোপাছড়িতে।এখানে আছে গা ছমছম করা অনুভূতির রহস্যময় অন্ধকার সূড়ঙ্গ (গুহা), আছে বড় বড় পাহার, পাহাড়ের উপর থেকে মনে হয় আসমান ছুঁই ছুঁই হাতে, সুউচ্চ পাহাড়ের উপর থেকে নিচ দিয়ে নেমে আছে জনপদ । সুন্দরী পাহাড় নামক জায়গা থেকে পাখির চোখে দেখা যায় পুরো রুপের রানী খ্যাত সোনালী সেই ধোপাছড়ি ইউনিয়ন যার পাহাড়ের বুকে ছোট্ট একটা শহর। যা আপনাকে মুহূর্তেই নিয়ে যাবে অন্য এক ভূবনে।এছাড়াও এ উপজেলায় আছে পাহাড়ের উপর দেবতা পুকুর (স্থানীয় ভাষায় মাতাই পুখুরি), রিছাং ঝর্ণা, পার্ক, হর্টি কালচার পার্ক, তৈদু ছড়া ঝর্ণা, হাজাছড়া ঝর্ণা, পাহাড়ি বন বিহার, শতায়ু বটগাছ, সাঙ্গু হ্রদ, গানছড়ি অরণ্য কুটিরসহ বেশ কিছু অনিল সৌন্দর্যে্যর সমাহার।এক পাহাড়ি পর্যটক সৌরভ মারমা জানান, পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে দিগন্তে তাকালে মনে হবে যেন আকাশ পাহাড়ের গায়ে মিশে গেছে। এখানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় স্থান হচ্ছে রহস্যময় সূড়ঙ্গ। ঘুটঘুটে এই অন্ধকার গুহার ভেতরে প্রবাহিত পানি পা ধুয়ে দেয় ঘুরতে আসা পর্যটকদের। পাহাড়ের গহীন ভিতরে আলো-আঁধারির পদ দেখা যায়। আর পাহাড়ের পাদদেশে প্রকৃতির গড়া এই ঝর্ণার পানি অঝোর ধারায় ঝরছে। এ ঝর্ণাটিকে ঘিরে এখানে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘুরতে পিকনিকে আসেন পর্যটকরা।হাতির মাথা আকৃতির পাহাড় যেন প্রকৃতির আরও এক রহস্য হাতির মাথা আকৃতির পাহাড়। কয়েকটি ছোট ছোট পাহাড় পার হয়ে ৩০ থেকে ৩৫ ফুট উচ্চতার এই পাহাড়টিকে দেখতে হয় সিঁড়ি বেয়ে। এই সিঁড়িতে ওঠা মানে হাতির শুড়েঁর উপরে ওঠা আর সামনে চলা মানে শুড়ঁ বেয়ে হাতির মাথায় অর্থাৎ পাহাড়ের মাথায় ওঠা।