রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
নিউজ ডেস্কঃ বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতিতে চোরাচালান বিরোধী অভিযান চলাকালীন ভারতের সীমন্তবর্তী চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার বারাদী সীমান্তে দুই চোরাকারবারী মাথাভাঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় একজন সাঁতরে উঠে পালাতে সক্ষম হলেও আরেকজন নদীতে ডুবে যায়। স্থানীয়দের সহযোগীতায় ডুবন্ত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় শরীরে বেঁধে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায় ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম ওজনের ৬৮টি অবৈধ স্বর্ণের বার। রোববার (৮ অক্টোবর) রাতে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান পিএসসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। উদ্ধার করা মরদেহটি দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে মেরাজ হোসেন (২২)। চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান পিএসসি আরও জানান, চোরাচালান বিরোধী অভিযানের সময় সীমান্ত খুঁটি ৮০/১-আর হতে ২৫ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পৌঁছালে মাথাভাঙ্গা নদী পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি দেখে দুই চোরাকারবারী নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় একজন সাঁতরে উঠে পালাতে সক্ষম হলেও আরেকজন নদীর পানিতে ডুবে যায়। ওই সময় স্থানীয়দের সহযোগীতায় ডুবন্ত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের সময় শরীরে বেঁধে রাখা অবস্থায় ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম ওজনের ৬৮টি অবৈধ স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। স্বর্ণের বার গুলো জব্দ করে উদ্ধার করা লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে দাফনের জন্য পরিবারের সদস্যদের কাছে দিয়ে দেয়া হয়।নায়েক সুবেদার জাকির হোসেন বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। জব্দ করা অবৈধ স্বর্ণের বার গুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।