শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ প্রথমবারের মতো হামাস–ইসরায়েল যুদ্ধের ‘বিরতি’ চাইলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অবরুদ্ধ গাজা থেকে সমস্ত মার্কিন নাগরিককে সরিয়ে নেওয়ার জন্য চাপের মুখে যুদ্ধে ‘মানবিক বিরতির’ এই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।বিরতি দিয়ে বাইডেন কি বোঝাতে চাইছেন জানতে চাইলে, তিনি ফিলিস্তিনে আটকেপড়া আমেরিকান নাগরিকদের উদ্ধারের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, এটা বন্দীদের বাইরে নিয়ে আসার সময় বলে মন্তব্য করেছেন।বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চলে সমর্থকদের সামনে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন আগ্রাসন বন্ধের বিষয়ে একজন সমর্থকের প্রতিবাদের উত্তরে এ কথা জানান বাইডেন।গণমাধ্যম আরব নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে। প্রেসিডেন্টের এ বক্তব্য হোয়াইট হাউজে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। কারণ পূর্বে হোয়াইট হাউজ থেকে আসা বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল তার সেনাবাহিনীকে কীভাবে পরিচালনা করবে তা নিয়ে হোয়াইট হাউজ কোনো নির্দেশনা দিবে না। কিন্তু এদিকে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, “আমরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো লাল রেখা টানছি না। আমরা তাদের সবসময় সমর্থন করে যাবো।” গত শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) জাতিসংঘের সাধারণ সভায় যুদ্ধবিরতিতে ‘না’ ভোট দেওয়া ১৪টি দেশের মধ্যে একটি যুক্তরাষ্ট্র।যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্রদেশ, যারা প্রতিবছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান করে থাকে। ইসরায়েলের সামরিক আক্রমণকে সমর্থন জানাতে, বাইডেন কংগ্রেসকে দেশটিতে ১৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তার অনুমোদন প্রদানের কথা জানান।ইসরায়েলকে সহায়তা প্রদান করায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর এক প্রকার চটে আছে আরব আমেরিকানরা। এরা ডেমোক্রেটিক পার্টির নির্বাচনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আরব আমেরিকান ইনস্টিটিউট (এএআই) এর মতে বাইডেনের এ সমর্থনের কারণে তার প্রতি তাদের সমর্থন ১৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাইডেন তার বক্তব্যে বলেন, “এটি ইসরায়েল ও মুসলিম দুপক্ষের জন্য অনেক জটিল। আমি শুরু থেকেই দুটি দেশকেই সমর্থন করে আসছি।”যুক্তরাষ্ট্র সরকার গাজায় আটকেপড়া নাগরিকদের উদ্ধারপ্রক্রিয়া অগ্রসর হওয়ায় বাইডেন এ যুদ্ধবিরতির কথা বলেছেন। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে কী হতে পারে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা চলছে।বুধবার মিশরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় আটকেপড়া হাজার হাজার বিদেশী নাগরিকদের সঙ্গে আমেরিকান নাগরিকরা গাজা ত্যাগ করা শুরু করেছে। গাজায় আটকেপড়া নাগরিকদের উদ্ধারের বিষয়ে প্রেসিডেন্টের ওপর আস্থা ছিলো বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি।