শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন
খেলা ডেস্ক: এই ম্যাচে কারও জেতা ভালো হতো না। যা হয়েছে সেটাই ভালো।’
কথাটা জেমি ক্যারাঘারের। স্টামফোর্ড ব্রিজে কাল চেলসি-ম্যানচেস্টার সিটি পাল্টাপাল্টি গোলে এমনই এক জমজমাট ম্যাচ খেলেছে যে সাবেক লিভারপুল তারকা বলেই ফেলেছেন, ‘প্রিমিয়ার লিগ তার সেরা রূপে।’
প্রিমিয়ার লিগের সেরা মানের ম্যাচটিতে চেলসি-সিটি দুই দলই করেছে চারটি গোল। এর মধ্যেই প্রথমার্ধে ২-২, দ্বিতীয়ার্ধেও ২-২। লিগ ইতিহাসে পঞ্চম আর ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো এক ম্যাচে চারটি সমতাসূচক গোল দেখল প্রিমিয়ার লিগ। ম্যাচে দুজন গোল করেছেন তাঁর সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে, আর দুই দল পেয়েছে দুটি পেনাল্টি।
লিগের ১২তম রাউন্ডের ম্যাচটিতে ২৫ মিনিটে আর্লিং হলান্ডের পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় সিটি। চার মিনিট পরই চেলসির সবচেয়ে বেশি বয়সী গোলদাতার রেকর্ড গড়ে দলকে সমতায় ফেরান থিয়াগো সিলভা। ৩৭ মিনিটে চেলসি ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সিটিরই সাবেক খেলোয়াড় রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে। তবে বিরতির আগে সিটিকে সমতায় ফেরান মানুয়েল আকাঞ্জি।
প্রথমার্ধের এই গোলধারা বজায় থাকে দ্বিতীয়ার্ধেও। ৪৭ মিনিটে সিটিকে দ্বিতীয়বার ম্যাচে এগিয়ে দেন হলান্ড। এবারের লিগে এটি তাঁর ১৩তম গোল। সিটির এবারের এগিয়ে থাকা ছিল ২০ মিনিটের জন্য। ৬৭ মিনিটে নিকোলাস জ্যাকসন এনে দেন চেলসির ৩-৩ সমতার গোলটি।
ম্যাচের এই জায়গা থেকে চেলসি তৃতীয়বার পিছিয়ে পড়ে দুর্ভাগ্যে। ৮৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া রদ্রির শট সিলভার পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়িয়ে যায়। তবে হাল না-ছাড়া চেলসি যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে রুবেন দিয়াজের ফাউলের সুবাদে পেনাল্টি পেয়ে যায়। সফল স্পট কিকে চেলসিকে ৪-৪ সমতার গোল এনে দেন সেপ্টেম্বরে সিটি থেকে চেলসিতে আসা কোল পালমার।
ঘরের মাঠে এমন একটি ম্যাচ খেলার সময়টিকে চেলসি কোচ মরিসিও পচেত্তিনোর মনে হয়েছে ‘দুর্দান্ত সন্ধ্যা’। এমন ম্যাচ উপহার দেওয়ার কারণেই প্রিমিয়ার লিগ সেরা বলে মন্তব্য তাঁর, ‘এ কারণেই প্রিমিয়ার লিগ বিশ্বের সবচেয়ে অবিশ্বাস্য লিগ। সবাই এমন একটা দুর্দান্ত ম্যাচে নিজের ছাপ রাখতে চেয়েছে। সবাই বলছে, কী জমজমাট ম্যাচই না হয়েছে। ম্যানচেস্টার সিটি এখন বিশ্বের সেরা ক্লাব, আর তাদের বিপক্ষে তিন পয়েন্টের জন্য সাহস দেখিয়েছে এবং প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে চেলসি।’