শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
প্রত্যেক থানায় সিটিজেন ফোরাম গঠন করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ‘আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি’ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল জুয়া খেলায় বাধা, মালিককে মেরে মাটিতে পুঁতে ঢালাই করে কর্মচারীরা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা স্বেচ্ছায় সরে গেলে সাধারণ ক্ষমা পাবেন: উপদেষ্টা ফারুক পূর্ব শত্রুতার জেরে নিরিহ পরিবারের উপর হামলা ও বসতবাড়ী ভাঙচুর-লুটপাট হজ্ব করে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় শিশুসহ ৪ জন নিহত, আহত ৬ দেশে টিকার উপযুক্ত ৯৩ শতাংশ মেয়ে পেয়েছে এইচপিভি টিকা পশ্চিম থানা কমিটির সদস্যদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত গাজীপুরের প্রবীণ সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাদামীর কবর জিয়ারত চাপ বাড়ল বাংলাদেশি পর্যটকদের: রুম ভাড়া দেবে না শিলিগুড়ির হোটেলগুলো
কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন সব্যসাচী লেখক মীর লিয়াকত আলী

কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন সব্যসাচী লেখক মীর লিয়াকত আলী

হিমু আহমেদের প্রতিবেদন:

চতুর্দশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন সব্যসাচী লেখক মীর লিয়াকত আলী। দেশের ৮৯ বছরের প্রাচীন সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ অর্থাৎ কেমুসাস প্রবর্তিত কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কারের জন্যে ৬ বিশিষ্ট লেখককে মনোনীত করা হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার প্রদান করা হবে।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা হচ্ছেন রাগিব হোসেন চৌধুরী (দশম কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯), আবদুল হামিদ মানিক (একাদশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২০), আমেনা আফতাব (দ্বাদশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২২), মুকুল চৌধুরী (ত্রয়োদশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২১), মীর লিয়াকত আলী (চতুর্দশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩) এবং শাকুর মজিদ (পঞ্চদশ কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪)।

মুসলিম সাহিত্য সংসদ ২০০১ সাল থেকে কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করে আসছে। ২০০১ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রথম কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার কথাশিল্পী অধ্যাপক শাহেদ আলীকে প্রদান করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০০২ সালে সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল ইসলাম, ২০০৪ সালে গবেষক অধ্যাপক আসাদ্দার আলী, ২০০৬ সালে গবেষক সৈয়দ মোস্তফা কামাল, ২০০৮ সালে গবেষক ড. গোলাম কাদির, ২০০৯ সালে গবেষক দেওয়ান নূরুল আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ২০১০ সালে শিক্ষাবিদ-গবেষক প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজ, ২০১৩ সালে সাংবাদিক-বীর মুক্তিযোদ্ধা সালেহ চৌধুরী, ২০১৬ সালে কবি মোফাজ্জল করিম এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালে কবি নৃপেন্দ্র লাল দাসকে কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল।

পরবর্তীতে ২০২৪ পর্যন্ত কাউকে উক্ত পুরস্কার প্রদান করা হয়নি। পুরস্কার প্রদানের ধারাবাহিকতায় ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ৬ জন লেখককে সার্বিক সাহিত্যকর্ম বিবেচনা করে কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।

সিলেট বিভাগ তথা বাংলাদেশের ইতিহাসে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার এই প্রতিষ্ঠানের মুখপত্র আল ইসলাহে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পূর্বেই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানানো হয়েছিল এবং ১৯৪৭ সালেই বাংলা ভাষার পক্ষে ৩টি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এর মধ্যে সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভাটি উর্দুর সমর্থকরা পণ্ড করে দিয়েছিল।  এই সাহিত্য সংসদ বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘নজরুল সাহিত্য সম্মেলন’ আয়োজনসহ নজরুল চর্চায় অনন্য ভূমিকা পালন করেছিল।

কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেটে অবস্থিত একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন যা এই উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন সাহিত্য সংগঠন হিসেবেও পরিচিত। এই সাহিত্য সংসদটি বই, ম্যাগাজিন শিলালিপি ইত্যাদির সব থেকে বড় বেসরকারি সংগ্রহশালা; যার অনেক কিছুই ১৩শ শতাব্দীর।

১৯৩৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রখ্যাত সাহিত্য গবেষক মুহাম্মদ নুরুল হক “কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ” প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সৈয়দ মুজতবা আলী, দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, কবি দিলওয়ার এবং চৌধুরী গোলাম আকবর সাহিত্যভূষণসহ এই প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতিদের মধ্যে সিলেট অঞ্চলের অনেক লেখক, সমালোচক এবং কবি রয়েছেন। কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল ‘মুসলমানদের সমাজে সাহিত্য চর্চার ব্যাপক প্রচলন, বৃহত্তর সিলেটের বাংলা ভাষাভাষী অজ্ঞাতনামা কবি ও সাহিত্যিকগণের রচিত সাহিত্য সংকলন প্রাচীন পুঁথি সংগ্রহ এবং মুসলিম সাহিত্যসেবীবৃন্দের সাহিত্য চর্চার সুযোগ প্রদান’। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে তৎকালীন সিলেটের যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলতে উদ্যোগী ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন সপ্তাহিক যুগবাণী পত্রিকার সম্পাদক মকবুল হোসেন চৌধুরী, দেশের বিশিষ্ট দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, সাহিত্যিক মুহাম্মদ নুরুল হক, কবি একলিমুর রাজা কাব্যবিশারদ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ দেওয়ান ফরিদ গাজী, প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিশিষ্ট সাহিত্যিক চৌধুরী গোলাম আকবর সাহিত্যভূষণ, কবি আফজাল চৌধুরী, সাহিত্যিক অধ্যাপক আসাদ্দর আলী, মতিনউদ্দীন আহমদ, এ জেড আব্দুল্লাহ, মুসলিম চৌধুরী প্রমুখ।

কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাহিত্য আসরের আয়োজন, নিয়মিতভাবে সাহিত্য সাময়িকী আল ইসলাহ প্রকাশনা করে আসছে। সাহিত্য সংসদের অর্ধ লক্ষাধিক প্রাচীন গ্রন্থ সমৃদ্ধ পাঠাগার এবং প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আইটেম নিয়ে একটি জাদুঘরও রয়েছে।

কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ অর্থাৎ কেমুসাস প্রবর্তিত কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কারের জন্যে যে ৬ বিশিষ্ট লেখককে মনোনীত করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন সব্যসাচী লেখক মীর লিয়াকত আলী। শিক্ষা সংগঠন সাহিত্য সংস্কৃতি সাংবাদিকতার প্রায় সকল শাখায় প্রায় অর্ধশতাব্দীকাল তাঁর রয়েছে একটানা বিচরন। মীর লিয়াকত আলী একজন পরিচ্ছন্ন নিরলস নিভৃতচারী সব্যসাচী। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে সাহিত্যের প্রায় সকল শাখার উপকরন। কবিতা, ছড়া, কল্পকাহিনী, ভ্রমন, গীতিনাট্য, কাব্যনাটক, ছোটগল্প, কলাম, গীতিকবিতা, উপন্যাস, রূপকথা, প্রবন্ধ, গবেষণা, নাটক, অনুবাদ সাহিত্য, শিশুকিশোর সাহিত্য, নিবন্ধ, জীবন বৈচিত্র ইত্যাদি। এর মধ্যে প্রকাশিত উপন্যাস সমগ্র, গল্প সমগ্র, সঙ্গীত সমগ্র, কবিতা সমগ্র, লিমেরিক সমগ্র, উল্লেখযোগ্য। মুক্তিযুদ্ধের উপর তাঁর লেখা একাধিক উপন্যাস ইতোপূর্বে প্রশংসিত হয়েছে। প্রকাশিত গ্রন্থ একশত ছিচল্লিশটি। প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘যেমন যেখানে জীবন।’ ১৯৬৮ সালে এমসি কলেজে অধ্যয়নকালে তাঁর প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। করাচী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তারঁ রচিত কয়েকটি পাণ্ডুলিপি স্বাধীনতাত্তোরকালে প্রকাশিত হয়েছিল।

সুসাহিত্যিক মীর লিয়াকত আলীর লেখা সিলেটী ছড়া, শ্রীহট্টিয়া ছড়া (নাগরীসহ), সিলেটের আঞ্চলিক গান, প্রেমের রাজা হাসন রাজা, হাসন রাজার গান, বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম ও তাঁর গান, সিলেটী ডায়ালগ গ্রন্থগুলি আদৃত হয়েছে। এছাড়া তাঁর লেখা সিলেটী আঞ্চলিক নাটক দেশে বিদেশে মঞ্চস্থ হয়েছে, প্রচারিত হয়েছে সিলেট বেতার ও টেলিভিশনে। এর মধ্যে সুরমা নাটকটি ভারতসহ সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বিশোর্ধবার মঞ্চস্থ হয়েছে। টেলিনাটক রয়েছে ইউটিউবে যার ভিউ রয়েছে লক্ষ লক্ষ।

সব্যসাচী লেখক মীর লিয়াকত আলীর জন্ম সিলেটের শমশেরনগরে। তাঁর বাসা সুবিদবাজারের লন্ডনী রোডে। বসবাস করেন ঢাকার উত্তরায়। বহু সংগঠনের তিনি প্রতিষ্ঠাতা। রয়েছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় তাঁর অগ্রণী ভূমিকা। ১৯৭২ সালে কমলগঞ্জে সুরাসর এবং ১৯৭৬ কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির অভিজ্ঞতা নিয়ে পরবর্তীকালে ১৯৮২ সালে ঢাকায় গড়ে তুলেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় ভিত্তিক অবাধ সাংবাদিক সংগঠন ‘জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’ যা এখন সারা দেশে বিস্তৃত। ‘ঢাকা কালচারেল পর্ষদ’ এর তিনি চেয়ারম্যান এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল কালচারাল ফোরাম’ আইসিএফ এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব। দেশের শিল্পসাহিত্যের শীর্ষ ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে সংগঠিত জাতীয় সাংস্কৃতিক সংস্থা’র তিনি ছিলেন অন্যতম শীর্ষ নীতিনির্ধারক। তিনি বেতার ও টেলিভিশনের গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও শিল্পী। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ নিউজ সিন্ডিকেটের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, দৈনিক আলোর জগত এর উপদেষ্টা সম্পাদক, এবং একাধিক অনলাইন পোর্টাল এবং সুসময় সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি। সাংবাদিক সংস্থা, ঢাকার জালালাবাদ এসোসিয়েশন, সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদ, সিলেট সমিতি উত্তরা এর আজীবন সদস্য। সিলেট সমিতি উত্তরা, জালালাবাদ এসোসিয়েশন, ঢাকা রেসিডেন্সিয়েল ল্যাবরেটরী কলেজ সহ বিভিন্ন বার্ষিক ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেছেন ও করছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ দেশে বিদেশে সম্মানিত হয়েছেন। তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে বাংলা একাডেমী বইমেলায় ‘সব্যসাচী মীর লিয়াকত’, ‘নিভৃতচারী মীর লিয়াকত’, চিরন্তন শব্দমালাসহ কয়েকটি প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠক সমাদৃত হয়েছে। তাঁর সামগ্রিক সৃষ্টি নিয়ে অতিসম্প্রতি রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বিশেষ অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেছিলেন।

সুসাহিত্যিক মীর লিয়াকত আলী সম্পাদনা করছেন বিভিন্ন গ্রন্থ, সাহিত্য সংস্কৃতি সাময়িকী বিকিরণ, আলো, নুড়ি ইত্যাদি। এর মধ্যে ১৯৭৭ সালে সিলেট থেকে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত সাহিত্যপত্রিকা ‘বিকিরণ’ এর প্রকাশনা এখনো অব্যাহত রয়েছে। শুরুতে এর প্রধান সম্পাদক ছিলেন খলিলুর রহমান কাসেমী, সম্পাদক মীর লিয়াকত আলী এবং নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন মহিরউদ্দিন শীরু। এছাড়া বক্স ছাপাঘর থেকে তার সম্পাদিত মূর্চ্ছনাও প্রকাশিত হয়েছিল।

সুসাহিত্যিক মীর লিয়াকত আলীর প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে দ্য মিরাকল মর্ণিং (হ্যাল এলরড, অনুবাদ), বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের গান, বাউল সম্রাট আব্দুল করিম ও তার গান, লিডারশীপ (ব্রায়ান টেসি, অনুবাদ), রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড(রবার্ট টি কিয়োসাকি, অনুবাদ), হাউ টু উইন ফ্রেন্ড এন্ড ইনফ্লুয়েন্স পিপল (ডেল কার্নেগী, অনুবাদ) রোড টু সাকসেস (নেপোলিয়ন হিল, অনুবাদ), হাউ সাকসেস- ফুল পিপল থিংক (জন সি. ম্যাক্সওয়েল, অনুবাদ) পেত্নীবুড়ি ও নাপিত, কবিতা সমগ্র-১, ছোটদের মজার ছড়া, রূপকথার গল্প্র, OASIS (ইংরেজী কবিতা) কোরআনের আলোকে বিজ্ঞান, মুসার ছড়া, শিশুদের শব্দ শেখার ছড়া, খোকা খুকুর স্পাইডারম্যান, ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও সাফল্যের সহজ পথ (ডেল কার্নেগী অনুবাদ), কিভাবে বন্ধুত্ব ও প্রভাব বিস্তার করা যায় (ডেল কার্নেগী অনুবাদ), মানুষের মন জয় করবেন কীভাবে (ডেল কার্নেগী অনুবাদ), দুশ্চিন্তামুক্ত নতুন জীবন (ডেল কার্নেগী অনুবাদ), বাঘের পিঠে রাজার ছেলে (শিশু একাডেমী), সিলেটী ডায়ালগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ চৌধুরীর জীবনকথা, বর্ণমালা, গানের যত গল্প (২য় সংস্করন) সিলেটের আঞ্চলিক গান, ছড়ায় ছড়ায় শিখন, ভ্রমনকাহন (২য় সংস্করন), লিমেরিকসমগ্র, মেয়র ময়ূন ইত্যাদি।

সব্যসাচী লেখক মীর লিয়াকত আলী সম্পাদিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রিমঝিম বরিষণ, স্বচ্ছ সলীলা ধবল শরৎ, চারণ, মফিজ আলী স্মরণ, ঋতুপত্র, মেলা, উপজেলা কমলগঞ্জ, সেতুবন্ধন, প্রাণস্পন্দন, ইয়াসিন শাহের গান (সুরকৃত সঙ্গীত), কবি দিলওয়ার স্মরণ, জীবনের কিছু আয়োজন সমকালীন সাতজনের গল্প (গল্পসংগ্রহ), বরদাকান্ত স্মরণ, আলো, হাসন রাজার গান (সঙ্গীত সংগ্রহ), শ্রেষ্ঠ গল্প: জীবনানন্দ দাশ ইত্যাদি। এছাড়া সুদীর্ঘ আটচল্লিশ বছরের প্রকাশনা বিকিরণ, মূর্চ্ছনা, কলমসৈনিক, নাট্য-উৎসব’৯৮, এ.আই.ডি.জার্নাল, নজরুল স্মরনিকা, বিজয় স্মরনিকা, পিঠামেলা স্মরনিকা, শমশেরনগর বার্তা, কপোত, হেমন্তের দু:খসুখ, পায়রা, বজ্রধ্বনি, বৈশাখী, অদীপ্তি, নিসর্গ, চেতনায় নীলপদ্ম, ঊর্মি, উসসি (বার্ষিকী: সিলেট সমিতি উত্তরা), নুড়ি ইত্যাদি।

সব্যসাচী লেখক মীর লিয়াকত আলী কেমুসাসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুহম্মদ নুরুল হক এর খুব প্রিয়ভাজন ছিলেন। সত্তরের দশকে কেমুসাসে তাঁর যাতায়াত ছিলো বেশি। সে সময় মুহম্মদ নুরুল হক সম্পাদিত ঐতিহ্যবাহী ‘আল ইসলাহ’তে মীর লিয়াকত আলীর বেশ কয়েকটি সনেট প্রকাশিত হয়েছিল। এই সনেটগুলো নিয়ে তাঁর ‘সনেট অঞ্জলি’ গ্রন্থটি পরবর্তীকালে বাংলা একাডেমী বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া মুহম্মদ নুরুল হককে নিয়ে তাঁর আবেগপূর্ণ একাধিক লেখা সে সময় দৈনিক আজাদ ও যুগভেরীতে প্রকাশিত হয়েছিল।

[হিমু আহমেদ, himuahmed964011@gmail.com]

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com