বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ভূমি অফিসে দালালচক্রের তৎপরতা: প্রতারক হিমুর খপ্পরে সাধারণ মানুষ সনদ জালিয়াতির : মনোহরদীর বিএনপির সদস্য সচিব দোলনের ইস্তফাপত্র ক্রিকেট ম্যাচে ওভার না দেওয়ায় গুলি, প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের শাকিবের পারিশ্রমিক ৩ কোটি, যা বললেন প্রযোজক নড়াইলে শিক্ষার্থী আল মামুন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সহপাঠী স্বজনদের মানববন্ধন রায়পুরায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে নিন্মমানের বিপুল পরিমাণ পানীয় পণ্য ধ্বংস গাজায় ইসরায়েলি হামলায় চার সাংবাদিকসহ নিহত ১৯ ওয়ালটন ডিজি-টেকের দেশব্যাপী ডিলার মিট সিলেটে ন্যাশন্যাল লাইফের ৫ কোটি টাকার বীমা দাবি পরিশোধ প্রিমিয়ার ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের নির্দেশেই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে চলছে রমরমা কোচিং বানিজ্য

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের নির্দেশেই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে চলছে রমরমা কোচিং বানিজ্য

মোঃ জাহিদুল হক:

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই কোচিং বানিজ্য, প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং পরিক্ষার ফলাফল জালিয়াতির দুর্নীতির অভিযোগে আবারও আলোচনায় এসেছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের সারটিয়া গ্রামের আলহাজ মহিউদ্দিন নাসির বালিকা বিদ্যালয়।
মাত্র কয়েকদিন আগেই অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, তহবিল তছরুপ এবং শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। তদন্তের কারনে প্রধান শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন। এই রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে আবারও কোচিং বানিজ্য, প্রশ্নফাঁস বানিজ্য, পরিক্ষার ফলাফল জালিয়াতির মত ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে ঐ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, অত্র বিদ্যালয়ে গত দুই বছর আগে এনটিআরসির মাধ্যমে ইংরেজী বিষয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত হন শাহাদাত হোসেন এবং কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে বিশ্বজিৎ সরকার। সরকারী কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের নির্দেশে ঐ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে সকাল ৬ট ৩০মিনিট থেকে ৯ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলে ব্যক্তিগত কোচিং বানিজ্য। কয়েকজন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,শাহাদাত স্কুলে ঠিকমত ক্লাস নেন না, কিছু জিজ্ঞেস করলে বলে কোচিং এ আসো। যারা কোচিং এ পড়ে তারা এমনিই ভালো রেজাল্ট করে। পরিক্ষার আগে স্যার সব কিছু বলে দেয়। যারা তার কোচিং এ পড়ে না তারা ভালো লিখলেও স্যার নাম্বার দিতে চায় না। এই বিষয়ে অভিযুক্ত শাহাদাত স্যার বলেন আমি ৪ টা ব্যাচ করে ৮০ জন শিক্ষার্থী পড়াই। সব ক্লাসেই আমি ৫০০ টাকা করে বেতন নেই। আর স্কুলের পরিক্ষার প্রশ্ন আমরা নিজেরাই তৈরি করে। কোচিং করার নিয়ম আছে কি না এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা আমি জানি না। গ্রামের কয়েকজন অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয়টি দুর্নীতির একটি আখড়া এখানে সবকিছুই জালিয়াতি করে শিক্ষকরা। কয়েকদিন পরপরই একটি করে নতুন তথ্য জানতে পারি। আমরা গ্রামের মানুষ, আমরাই বা কি করতে পারি। কেউ কোচিং না করলে ক্লাসে ঠিকমত পড়ায় না, পরিক্ষার আগে প্রশ্ন সব বলে দেয়, আর যারা কোচিং করে না তাদের নাম্বার দিতে চায় না। এগুলো বেশিরভাগই সবাই জানে। শিক্ষক জাতির মেরুদণ্ড হলেও এই বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি দেখে আমাদের চিন্তাধারা বদলে গেছে। গ্রামের স্কুলে এত দুর্নীতি হতে পারে এটা গ্রামের সাধারণ মানুষ কল্পনাও করতে পারে না।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, দুর্বল শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট পড়তেই পারে এসব নিয়ম আমার জানা আছে। তাছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থী স্কুলে পড়বে এতে দোষের কি আছে।
শিক্ষা কর্মকর্তা এলিজা পারভীন বলেন, স্কুলের ভিতর কোন কোচিং বা প্রাইভেট পড়ানোর কোন নিয়মই নেই। আপনারা রিপোর্ট করুন আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com