সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
হরিপুরে গ্রামবাংলার ঝোপঝাড় হতে বিলুপ্তির পথে কুচফল ওয়াজের মাঠ কাপানো আর নারীদের খাট কাপানো হুজুর মুফতি মুহাম্মদ শফিকুজ্জামান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ৮০০ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: রিজভী নির্বাচন কবে, সেই ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকেই : প্রেস উইং মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী
জীবিত নবজাতককে মৃত ঘোষণার অভিযোগ ঢামেকের বিরুদ্ধে

জীবিত নবজাতককে মৃত ঘোষণার অভিযোগ ঢামেকের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদকএবার জীবিত নবজাতককে মৃত ঘোষণার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে। মৃত ঘোষিত নবজাতককে দাফনের জন্য কবরস্থানে নেয়ার পর তাকে গোসলের সময় নড়েচড়ে উঠেছে এক শিশু। এরপর আবারও তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টায় আজিমপুর পুরাতন কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটেছে।

 আজিমপুর পুরাতন কবরস্থান সূত্রে জানা গেছে, সকালে শরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি তার মৃত শিশুকে দাফনের জন্য নিয়ে আসেন। এরপর কবরস্থানের মোহরার হাফিজুল ইসলাম নবজাতককে গোসল করাতে গোসলখানায় পাঠান। এসময় তিনি বাহক শরিফুলের কাছ থেকে অভিভাবকের নাম ঠিকানা লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। গোসলখানায় জেসমিন আক্তার ঝর্ণা নামে এক নারী নবজাতকের গায়ে পানি ঢালতেই নবজাতকটি মৃদু নড়েচড়ে ওঠে। চোখে ভুল দেখছেন ভেবে আবার পানি ঢালতেই দেখেন শ্বাস-প্রশ্বাস ওঠানামা করছে। এবার তিনি অফিসে দৌড়ে গিয়ে খবর দিলে মোহরারসহ উপস্থিত সকলে ছুটে যান। বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেন নবজাতক শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে। বেলা পৌনে ১১টায় মোহরার হাফিজুল ইসলাম এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি আরও জানান, ঢামেক হাসপাতালের ডেথ সার্টিফিকেটে নবজাতক মৃত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়। এতে নবজাতকের পিতার নাম- মিনহাজ। ঠিকানা- ধামরাই, ঢাকা লেখা হয়েছে।

মোহরার নিজে নবজাতককে নড়াচড়া করতে দেখেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি তখন ডেথ রেজিস্টারে তথ্য লিখছিলেন। এ সময় ঝর্ণা এসে নবজাতক নড়াচড়া করছে বললে অভিভাবক দৌড়ে যান। হয়তো তারা নড়াচড়া করতে দেখেছেন বলে হাসপাতালে আবার নিয়ে গেছেন।

শিশুটির বাবা মিনহাজ উদ্দিন সাভারের নয়াডিঙ্গির একটি পোশাক কারখানায় আয়রনম্যান পদে কাজ করেন। আর মা শারমিন আক্তার এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।

জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণার অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ কান্তি পালকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. বাচ্চু মিয়া জানান, শনিবার সাভার থেকে এসে গাইনি বিভাগের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হন শারমিন আক্তার। সোমবার সকালে তিনি কন্যা সন্তান প্রসব করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, “খবর শুনে আমরা হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। শারমিন নামে একজন এখানে ২৭ সপ্তাহের প্রেগনেন্সি নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তার স্টিলবর্ন বেবি (মৃত শিশু) হয়েছে। তার শরীর এখনো ভালো না। এখনো সে ঢাকা মেডিকেলে আছে। বাচ্চাটি এই মহিলারই কিনা সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে।”

তিনি বলেন, শিশুটিকে মৃত বলার পর জীবিত হওয়ার ঘটনা সত্যিই ঘটে থাকলে তা তদন্ত করে দেখা হবে। সেজন্য ডিএনএ টেস্টসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা করা হবে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com