বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক নিউজ : সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুমের কন্যা প্রিন্সেস লতিফা সাগর পথে দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন, এই খবর বেশ কিছুদিন ধরেই ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন সংবাদপত্রে ছাপা হচ্ছে। খবর বিবিসি বাংলার।
এসব খবরে জানা যায়, প্রিন্সেস লতিফা তার ফিনল্যান্ডের বান্ধবী ও ফরাসী একজন সাবেক গোয়েন্দার সহযোগিতায় একটি ইয়ট বা প্রমোদ তরী ভাড়া করে গোপনে ভারতে রওনা হয়েছিলেন।
তার পরিকল্পনা ছিল, ভারত থেকে তিনি বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবেন।
কিন্তু পশ্চিমা মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে খবর হয়, গোয়ার উপকূলের কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভারতের ন্যাভাল কমান্ডোরা ইয়টটি আটক করে প্রিন্সেস লতিফাসহ অপর দুজনকে দুবাই কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দেয়। ভারতীয় কয়েকটি মিডিয়াতেও এ খবর বের হয়।
ভারত সরকার বা ভারতীয় নৌবাহিনী অবশ্য এ নিয়ে কোনো তথ্য দেয়নি।
ঘটনার দু’মাসের পর এ সপ্তাহের প্রথম দিকে ওয়াশিংটন পোস্টের এক খবরে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে দুবাইয়ের রাজকন্যাকে ধরে দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার সেই অভিযানের অনুমতি দিয়েছিলেন।
এরপর ব্রিটেনের দৈনিক টেলিগ্রাফ মঙ্গলবার তাদের এক খবরে একই দাবি করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, এ ধরনের কোনো অপারেশন ভারতের নৌবাহিনী করেছে-এরকম কোনো কথা এখনও সরকারের কাছে কেউ তোলেনি।
প্রিন্সেস লতিফার দুই বন্ধুকে কূটনৈতিক চাপের মুখে দুবাই কর্তৃপক্ষ ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু রাজকন্যার এখনো কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
পালানোর আগে রাজকন্যা লতিফার ভিডিও:
কেন তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে চান- তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে পালানোর আগে একটি ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন প্রিন্সেস লতিফা। আধ ঘণ্টারও বেশি লম্বা ভিডিওটি এখন ইউটিউবে ঘুরছে।
সেখানে লতিফা বলেছেন, তার বাবার আচরণ এবং পারিবারের রক্ষণশীল পরিবেশ তার একদমই ভালো লাগতো না। তিনি দাবি করেন, তার বড় বোন শামসাও একই কারণে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু পরে তাকে ধরে এনে নির্যাতন করা হচ্ছে।
পালাতে গিয়ে ধরা পড়লে তার পরিণতিও যে খুব খারাপ হবে, সেই আশঙ্কাও তিনি প্রকাশ করেন তার ঐ ভিডিওতে। তিনি বলেন, ‘আমার বাবার প্রধান লক্ষ্য সুনাম রক্ষা। তার জন্য তিনি যে কোনো কিছু করতে পারেন। আমি বিফল হলে একমাত্র এই ভিডিওটিউ হয়তো অমার জীবন রক্ষা করতে পারবে।’