বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: ব্রিটিশ আমলের ফৌজদারি আইনের একটি ধারা অবৈধ ঘোষণা করে ভারতে সমকামিতার অধিকারকে বৈধতা দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, এর ফলে ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের আগের রায়ের বিরুদ্ধে গেল এই রায়।
একই সঙ্গে ব্রিটিশ আমলের পুরনো আইনটিকে অযৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা।
রায়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বলেছেন, ‘পুরনো ধ্যানধারণাকে বিদায় জানিয়ে সমস্ত নাগরিকদের সমান অধিকার আমাদের দিতে হবে।’
বিচারপতি দীপক মিশ্রের সঙ্গে সহমত পোষণ করে একই বক্তব্য দিয়েছেন অন্য চার বিচারপতিও।
একই সঙ্গে তারা জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত পছন্দ স্বাধীনতার অন্যতম শর্ত। ভারতীয় সংবিধানে এলজিবিটি গোষ্ঠীর সদস্যরা বাকিদের মত একই অধিকার পাওয়ার যোগ্য।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার বিরুদ্ধে প্রথম আপত্তি জানায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নাজ ফাউন্ডেশন।
২০০১ সালে দিল্লি হাইকোর্টে ওই ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে তারা।
২০০৯ সালে দিল্লি হাইকোর্ট রায় দেয়, সম্মতির ভিত্তিতে দুই প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে যৌন সম্পর্ক অপরাধ নয়। তাদের যৌন সম্পর্ক এ ক্ষেত্রে বিবেচনাযোগ্য বিষয়ই নয়। কারণ, যৌন পছন্দ যা-ই হোক না কেন, দুই প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে যৌন সম্পর্কে আপত্তি জানালে ব্যক্তিপরিসরের অধিকারকে লঙ্ঘন করা হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যান একাধিক ব্যক্তি ও সংগঠন।
২০১৩ সালে দিল্লি হাইকোর্টের রায় খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ৩৭৭ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা আছে। সমকামিতাকে অপরাধের তকমামুক্ত করতে গেলে সংসদে আইন পাস করতে হবে।
নতুন রিট আবেদন পেশ করে ফের আইনি লড়াই শুরু হয়। ২০১৩ সালের রায় বিবেচনা না করে ৩৭৭ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা ফের সামগ্রিক ভাবে বিচার করে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় শীর্ষ আদালত।