সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১০ পূর্বাহ্ন
বাসুদেব রায়, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : প্রায় ৯ মাস সংসার জীবন অতিবাহিত করেও স্ত্রীর স্বীকৃতি পাচ্ছে না এক গৃহবধুঁ। দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে অবশেষে মঙ্গলবার স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান করায় ঐ গৃহবধুঁকে স্বামীর বাড়ীর লোকজন শারীরিক নির্যাতন করে তাড়িয়ে দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, নির্যাতনের শিকার গৃহবধকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য ডিমলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার দিন সন্ধায় কর্তব্যরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার ডাঃ নিরঞ্জন কুমার রায়ের অধিনে চিকিৎধীন রয়েছে ঐ গৃহবধুঁ। নির্যাতনের শিকার তাজমিরা আক্তার (১৯)। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের উত্তর সুন্দরখাতা গ্রামের মো: আজিজার রহমানের কন্যা। গৃহবধুঁ তাজমিরার সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিগত ৩ ডিসেম্বর’২০১৭ সালে আমি ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরীরত অবস্থায় আমার দুসর্ম্পকের চাচাত ভাই একই গ্রামের মো: আমিনার রহমানের পুত্র রাশেদুল ইসলামের সাথে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায় রাশেদুল আমাকে বিয়ে করতে রাজী হলে আমরা দু’জনেই প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় ঢাকায় মেট্্েরাপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এডভোকেট এবিএম মুনিম ও এডভোকট মো: মজিবুর রহমানের মাধ্যমে আমরা উভয়ে স্ব-ইচ্ছায় স্ব-জ্ঞানে বিবাহের ঘোষনা পত্রে সই-স্বাক্ষর করে কোর্ট ম্যারিজ সম্পন্ন করি। এরপর থেকে আমরা উভয়ে সুখে-শান্তিতে সু-সম্পর্ক বজায় রেখে ঢাকায় চাকুরীরত অবস্থায় সংসার জীবন অতিবাহিত করি। এরই মধ্যে গেল মাসে রাশেদুলের পরিবারের লোকজন আমাদের বিবাহের কথা শুনতে পেরে আমার শশুড় আমিনার রহমান কৌশলে আমার স্বামীকে বাড়ীতে নিয়ে আসেন। এরপর থেকে আমার স্বামীর সাথে কোন রকম সম্পর্ক না রাখার জন্য হুমকী ধামকী দিয়ে আসছিলেন। আমি কোন উপায়ন্তর না পেয়ে গত ২৩ অক্টোবর সকালে ঢাকা থেকে সরাসরি আমি আমার স্বামীর বাড়ীতে গিয়ে উঠতে চাইলে আমার স্বামী রাশেদুল চোখের আড়ালে গিয়ে সটকে পরে। এদিকে শশুড়-শাশুড়ী, চাচাশশুড়সহ স্বামীর পরিবারের লোকজন আমাকে শারীরিক নির্যাতন করায় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। বর্তমানে আমি চিকৎিসাধীন রয়েছি হাসপাতালে।এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার তাজমিরার বাবা আজিজার রহমান গনমাধ্যমকর্মীকে জানান, এর সঠিক বিচার আমি চাই। কেন তারা আমার মেয়ের জীবন নিয়ে এভাবে খেলছে। এ ঘটনায় বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জহরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, আমি ঘটনার কথা শুনতে পেরে মেয়ের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেছি এবং এ বিষয়ে শুক্রবার নামাজের পরেই বসে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করা হবে। তবে তিনি জানান, নির্যাতনের ঘটনাটি সত্যিই দুঃখজনক।